ভারতীয় ভ্যাকসিন নিলেন মোদী
১ মার্চ ২০২১প্রশ্নটা শুরু থেকেই ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন প্রথমেই করোনার ভ্যাকসিন নিলেন না? এতদিন নিজের ভ্যাকসিন নেয়া নিয়ে একটা কথাও বলেননি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেয়া শেষ হতেই এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে করোনার টিকা দেয়ার কাজ শুরু হলো। এখন ভ্যাকসিন পাচ্ছেন প্রবীণ নাগরিক ও ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সীরা, যাঁদের অন্য গুরুতর রোগ আছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথমেই এইমসে গিয়ে টিকা নিলেন মোদী। তিনি অক্সফোর্ড-অ্য়াস্ট্রাজেনেকার টিকা নেননি। নিয়েছেন দেশীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের কোভ্য়াকসিন।
টিকা নেয়ার পরই মোদী টুইট করে বলেছেন, ''কোভিড ১৯-টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছি, এইমসে। আমাদের চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা করোনার বিরুদ্ধে যেভাবে লড়ছেন, তা চমকপ্রদ। করোনার টিকা নেয়ার জন্য যাদের নাম উঠেছে, তাদের ভ্যাকসিন নেয়ার আবেদন জানাচ্ছি। আমরা সকলে মিলে ভারতকে করোনা-মুক্ত করি।''
প্রধানমন্ত্রীর এই ভ্যাকসিন নেওয়ার মধ্যেও প্রতি পদে ভোটের বার্তা ছিল। তিনি গলায় যে অঙ্গবস্ত্র পরেছিলেন সেটি আসামের। যে দুই জন নার্স তাঁকে ভ্যাকসিন দিয়েছেন, তাঁরা কেরালা ও পুদুচেরির। এই তিন রাজ্যেই ভোট আসন্ন। তিনি ভারতীয় সংস্থার টিকা নিয়েছেন। পিএমও জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যখন এইমসে গেছেন, তখন কোনো স্পেশ্যাল রুট ছিল না। প্রধানমন্ত্রী চাননি, তাঁর এইমসে যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কোনো কষ্ট হোক। রোগী বা তাঁদের আত্মীয়রা বিপাকে পড়ুন। সে জন্য তিনি খুব ভোরে গিয়ে টিকা নেন।
এর আগে কোভ্যাকসিন নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী কোভ্য়াকসিন নিতে চাননি। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগে এই ভ্যাকসিন চালু করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে অনেক রাজ্যে ভ্যাকসিন দেয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হয়নি। তাই প্রধানমন্ত্রী এই ভ্যাকসিন নিয়ে এটা বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, ভারত বায়োটেকের টিকা নিরাপদ। তিনি নিজে নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভরসা দিতে চেয়েছেন।
টিকা দেয়া হয়ে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদী নার্সদের বলেন, ''হয়ে গেছে। আমি তো কিছু বুঝতেই পারলাম না।'' তিনি নার্সদের জিজ্ঞাসা করেন, তাঁরা আসলে কোন রাজ্যের। নার্সরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন নিতে এসে খুবই স্বচ্ছন্দ্য ছিলেন।
দ্বিতীয় পর্বে ২৭ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা। সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন নেয়া যাবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলি সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা নিতে পারবে।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)