খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
১৮ নভেম্বর ২০১৬খালেদার জন্মদিন পালন নিয়ে অদ্ভুত বিতর্ক চলছে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে৷ তিনি ১৫ আগস্ট নিজের জন্মদিন পালন করেন, ১৯৭৫ সালের যেদিন বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল৷ মুজিব মুসলিম অধ্যুষিত দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, যিনি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, পিতা৷ এই দুই নারীর মধ্যকার তীক্ত সম্পর্কের কথা বাংলাদেশে কারো অজানা নয়৷
তবে বাংলাদেশের অনেক মানুষের জন্মতারিখ সরকারিভাবে লিপিবদ্ধ নেই এবং অনেকে সরকারি চাকুরি করার বয়স ধরে রাখতে ভুয়া জন্মদিন ব্যবহার করেন৷
ঢাকার একটি আদালতের মেজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম সরকারপন্থি সাংবাদিক গাজী জহিরুল ইসলামের মামলার ভিত্তিতে খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন৷ সাংবাদিকের অভিযোগ বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নিজের জন্মদিন সম্পর্কে মিথ্যা বলেছেন৷ মামলাকারীর আইনজীবী দুলাল মিত্র এই বিষয়ে বলেন, ‘‘ভুয়া জন্মদিন মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে৷''
পুলিশ এখন চাইলে আগামী ২ মার্চের মধ্যে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পারে৷ তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও দু'বার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল৷ তবে খালেদা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে গ্রেপ্তার এড়াতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷ এব্যাপারে করণীয় নির্ধারণে তিনি শীঘ্রই বিরোধী নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন৷
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুত্থানে শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যা করে একদল বিপথগামী সৈনিক৷ অভ্যুত্থানের নেতারা তখন খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান নিযুক্ত করে এবং তিনি সেবছরের নভেম্বরে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেন যারা মাধ্যমে বাংলাদেশে ১৫ বছরের সামরিক শাসনের শুরু হয়৷
এআই/ডিজি (এএফপি)