মরণোত্তর অঙ্গদানে চেতনার অভাব
২৮ নভেম্বর ২০১৭গত তিন বছরে কলকাতায় মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপনের হার বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ৷ কিন্তু মরণোত্তর অঙ্গদানকে সফল করতে কলকাতা কতটা প্রস্তুত, একাধিক প্রতিস্থাপনের পরিপ্রেক্ষিতে উঠে এসেছে এই প্রশ্ন৷
গত ১০ নভেম্বর পিজি হাসপাতালে ‘ব্রেন ডেথ' হয় কল্যাণী সরকারের৷ তাঁর দু'টি কিডনির একটি প্রতিস্থাপিতহয় মধুমিতা বিশ্বাসের শরীরে৷ পাশাপাশি ৫৪ বছরের শচীন্দ্রনাথ মিশ্রের শরীরে কল্যাণীর লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়৷ প্রতিস্থাপনের পরে ১২ ঘণ্টা পেরোনোর আগে ১১ নভেম্বর মৃত্যু হয় দুই গ্রহীতার৷ অথচ বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে যে ব্যক্তির কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়, তাঁর অবস্থা ছিল স্থিতিশীল৷ স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের সেরা সরকারি হাসপাতালের প্রতিস্থাপন পরিকাঠামো এই জোড়া মৃত্যুর জেরে প্রশ্নের মুখে৷ কলকাতায় সরকারি স্তরে শুধু পিজি হাসপাতালেই মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়৷ এখানকার নেফ্রোলজির বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার রাজেন পান্ডে অবশ্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালে মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপনে সাফল্যের হারই বেশি৷ মৃত্যু অবশ্যই দুঃখজনক৷ কিন্তু দু-একজন রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে যেটা প্রচার হচ্ছে, তা ঠিক নয়৷ একজন রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েও মারা যেতে পারে৷ তার সঙ্গে প্রতিস্থাপনের সম্পর্কটা কোথায়?''
মরণোত্তর অঙ্গদানের ব্যাপারে ক্রমশ সচেতনহচ্ছে মানুষ৷ কিন্তু অঙ্গ দান করলেও তার গ্রহীতা মিলছে না৷ এই সংক্রান্ত পরিকাঠামো কতটা তৈরি? এক্ষেত্রে কল্যাণী সরকারের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের প্রসঙ্গ তুলে ধরা যেতে পারে৷ তাঁর ‘ব্রেন ডেথ' ঘোষণার পর ৯ নভেম্বর হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল৷ রাজ্যের কোনো গ্রহীতা না পেয়ে অন্য রাজ্যের একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, তাঁরা হৃদযন্ত্রের প্রতিস্থাপনে রাজি হননি৷ ফলে প্রশ্ন উঠছে, একজন গ্রহীতা রাজি না হলেও অন্য গ্রহীতা প্রস্তুত রাখা হলো না কেন? গ্রহীতাদের তালিকা থাকার কথা যে রোট্টো-র (রিজিওনাল অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার) কাছে, তাদের কি কোনো দায় নেই?
অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্য যে গা-ছাড়া ভাব দেখাচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ কার্যত এরই ফল ভুগছেন ক্যাডাভার অঙ্গ গ্রহীতারা৷ কোনো রোগীর ‘ব্রেন ডেথ' হওয়ার পর তাঁর অঙ্গ অন্য কোনো রোগীর দেহে প্রতিস্থাপনকে বলে ‘ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট'৷ আবেদনকারীর তুলনায় দাতার অনুপাত কম হওয়ায় বিপুল চাহিদার পাশে এ রাজ্যের ক্যাডাভার অঙ্গের জোগান খুবই সামান্য৷ অঙ্গ সংরক্ষণ, কো-অর্ডিনেশন এবং সর্বোপরি সচেতনতার অভাবের জন্য একটা বড় অংশের আবেদনকারীই অঙ্গ পাওয়ার সুযোগ হারাচ্ছেন৷
অঙ্গ না পাওয়ার জেরে ভারতে প্রতি বছর ৫ লক্ষ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের আবেদনকারী মারা যান৷ কলকাতার বাসিন্দাদের সংখ্যা তাতে খুব একটা কম নয়৷ পথ দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর ১০ শতাংশই এ দেশে৷ সে ক্ষেত্রে ‘ব্রেন ডেথ' হলেও যোগ্য কাউন্সেলিংয়ের অভাবে পরিবারের সদস্যরা ‘ব্রেন ডেড' ব্যক্তির অঙ্গদান নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না৷ কলকাতার শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালের ট্রান্সপ্ল্যান্ট কো-অর্ডিনেটর এবং কাউন্সেলর সুমিত্রা ধর ডয়চে ভেলেকে জানালেন, ‘‘পথ দুর্ঘটনায় ব্রেন ডেথ হওয়া মানুষের পরিবার এবং অঙ্গদানে ইচ্ছুক ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনদের সচেতন করার দায়িত্ব নেওয়ার জন্যই ট্রান্সপ্লান্ট কো-অর্ডিনেটর বা কাউন্সেলরের গুরুত্ব এখানে অনেক৷''
কলকাতার একটি নামি বেসরকারি হাসপাতালে ১৩ বছর ধরে ডায়ালিসিস নিচ্ছেন বছর চল্লিশের রিঙ্কু দত্ত৷ কোনো লিভিং ডোনার না পাওয়ায় তাঁর আশা ছিল ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের৷ কিন্তু এ রাজ্যে রোগীদের রেকর্ড রাখা হয় না বলে আশা পূরণ হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই তিনি দেখতে পাচ্ছেন না৷ ডয়চে ভেলেকে রিঙ্কু বলেন, ‘‘কিডনি দাতারা এমন একটা বিপুল পরিমাণ টাকা দাবি করে বসেন যে মধ্যবিত্তদের পক্ষে সেই ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না৷ ক্যাডাভার অঙ্গ পাওয়া গেলে সুবিধাই হয়৷ কিন্তু আমাদের রাজ্যে তেমন পরিকাঠামো কই!''
কেন রিঙ্কু দত্তের মতো রোগীরা ক্যাডাভার গ্রহীতার সুবিধা পাচ্ছেন না? যেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রক ট্রান্সপ্লান্টেশন অফ হিউম্যান অরগ্যানস অ্যাক্ট ২০১১ অনুযায়ী দেশ জুড়ে মরণোত্তর প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যে অঙ্গ এবং টিস্যু সংগ্রহ ও প্রতিস্থাপনের জন্য নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে শুরু করেছে অনেক আগেই৷ এরই পদক্ষেপ হিসেবে প্রতি রাজ্যে তৈরি হয়েছে সোট্টো বা স্টেট অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশন৷ এ রাজ্যের পিজি হাসপাতাল রোট্টো এবং সোট্টো দুইয়েরই দায়িত্ব পেয়েছে কেন্দ্রের তরফে৷ তা সত্ত্বেও এখনও কাজ শুরু করে উঠতে পারেনি রাজ্যের দায়িত্বে থাকা রোট্টো এবং সোট্টো৷ ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের ক্ষেত্রে অরগ্যান ব্যাঙ্ক গড়ে ওঠার কথা ছিল, কিন্তু তাও হয়নি৷ এমনকি রোট্টোর অধিকর্তা হিসেবে একজন ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞও নেই৷ পিজির মতো বড় হাসপাতালে নেই ট্রান্সপ্লান্ট কো-অর্ডিনেটর৷
শুধু পিজি কেন, রাজ্যে বহু বেসরকারি হাসপাতালে এই প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য থাকেন না ট্রান্সপ্লান্ট কো-অর্ডিনেটর এবং মরণোত্তর অঙ্গদানের উপযোগিতা বোঝানোর জন্য পাওয়া যায় না কাউন্সেলরকেও৷ দীর্ঘদিন ট্রান্সপ্লান্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার দায়িত্বে থাকা সুমিত্রা জানালেন, ‘‘কিছু বছর আগেও মরণোত্তর অঙ্গদান ব্যাপারটা মানুষের কাছে অজানা ছিল৷ এখনও অঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণাটাই নারী-পুরুষ-ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে কারও নেই, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট সচেতনতা তাই আরও দূর অস্ত৷ অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে সারা ভারতবর্ষে যে আইন আছে, সেটাই বেশিরভাগ মানুষের কাছে অজানা৷ বলতে বাধা নেই যে তৃণমূল স্তর থেকে অনেক উচ্চ শ্রেণিতেও অঙ্গদান নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে৷ দায়িত্ব নেওয়ার মতো মানুষের অভাবও দেখা যায়৷ মূলত এই দু'টি কারণে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টে কলকাতা পিছিয়ে৷ সচেতনতা বাড়াতে সরকারকে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মতো ঢালাও প্রচার চালাতে হবে৷ তবেই সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে অঙ্গদানের বিষয়ে সচেতন করে তোলা সম্ভব হবে৷''
অঙ্গদান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সচেতনতা যে এখনও অনেক পিছিয়ে, অঙ্গদান আন্দোলনে দীঘদিন জড়িয়ে ‘গণদর্পণ' স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্রজ রায় সে কথা মেনে নিলেন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘মরণোত্তর দেহদান কী, কেন করা হয়, এটা এখনও অনেকের কাছে পরিষ্কার নয়৷ তাই কাঙ্খিত অগ্রগতি হয়নি৷'' দ্রুত অঙ্গ স্থানান্তরের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর পুলিশের সাহায্যে যে গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করেছে, তার অসারতার কথা বললেন তিনি৷ ব্রজ রায়ের বক্তব্য, ‘‘ওই করিডরে কাজ হয় না৷ অফিস টাইমে কী হবে? একটা আলাদা লেন থাকলে হতো৷'' তাঁর মতে, অঙ্গের চাহিদা ও জোগানে ভারসাম্য থাকা দরকার৷ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো কলকাতায় রয়েছে৷
আবার বেসরকারি হাসপাতালের অনেক চিকিৎসকই মনে করেন পরিকাঠামোগত ত্রুটির ফলেই পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গদান ও প্রতিস্থাপনে পিছিয়ে রয়েছে হায়দরাবাদ, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু ইত্যাদি শহরের তুলনায়৷ কিডনি, চোখ, ত্বক, লিভার, প্রতিস্থাপন এ রাজ্যে হলেও হৃদপিণ্ড বা ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য প্রধানত অন্য রাজ্যই বাঙালির আশা-ভরসার জায়গা৷
বিদেশের মাটিতে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের সঙ্গে যুক্ত ও অধুনা কলকাতার একটি প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালের কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সার্জেন ডাক্তার প্রদীপ চক্রবর্তী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টে কলকাতা অনেক পিছিয়ে৷ চেন্নাই আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে৷ এখানে প্রচুর প্রশিক্ষিত ডাক্তার আছেন৷ কিন্তু পদ্ধতিগত অসুবিধা রয়েছে অনেক৷ ডাক্তার ছাড়াও অঙ্গ সংরক্ষণ, অঙ্গ পরিবহণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্যারামেডিক সহায়তা দরকার হয়৷ এক্ষেত্রে যথাযথ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন৷ অ্যামেরিকায় ‘ইউনোস'-এর মতো সংস্থা সেখানে সবটাই তদারকি করে৷ সেখানে ট্রান্সপ্লান্ট কো-অর্ডিনেটররা রোগীদের নামের তালিকাভুক্ত করেন চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী৷ মরণোত্তর অঙ্গ পাওয়া গেলেই তালিকা অনুযায়ী ডাক পড়ে রোগীর৷ এমন ব্যবস্থা আমাদের দেশে নেই৷''
ঠিক এই কারণেই এ দেশে অবৈধভাবে কিডনি কেনাবেচা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে৷ ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টকে উৎসাহ দিলে কিডনি পাচার চক্রের বাড়বাড়ন্ত আটকানো যেতে পারে৷ সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনে জীবিত ব্যক্তির অঙ্গদান করার আর্জি অবৈধভাবে অঙ্গ আদানপ্রদানের জায়গায় পৌঁছে যেত বলে সেটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রদ করা হয়েছে৷ অনলাইনে অঙ্গ কেনাবেচা আটকাতে ইদানীংকালে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবে এই বিজ্ঞাপন রোখার জায়গাতেও সরকার সচেষ্ট হচ্ছে৷ শুধু কি সরকারের চেষ্টা যথেষ্ট?
ডাক্তার চক্রবর্তী জানালেন, ‘‘সবচেয়ে বেশি দরকার জনতার সচেতনতা৷সেটা হলেই বেশি অঙ্গদান হতে পারে৷ তাতে কাউন্সেলর বা ট্রান্সপ্লান্ট কো-অর্ডিনেটরেরও সুবিধা৷ ক্যাডাভেরিক অঙ্গ কোনো অংশেই জীবিত ব্যক্তির অঙ্গের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, সবার প্রথমে এটা বুঝতে হবে সবাইকে৷'' কলকাতা থেকে বহু মানুষ প্রতিস্থাপনের জন্য দক্ষিণে চলে যান৷ এই প্রবণতা কেন? ডাক্তার চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যেখানে মানুষ বাঁচার আশা দেখতে পাবে, সেখানেই যাবে৷ সোজা ব্যাপার৷''
যদিও সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পরিকাঠামোর অভাবের কথা মানতে চাননি৷ ডাক্তার রাজেন পান্ডের দাবি, পিজির ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের পরিকাঠামো পৃথিবীর যে কোনো শ্রেষ্ঠ জায়গার সঙ্গে তুলনীয়৷ পিজি ভালো বলেই এটিকে প্রতিস্থাপনের জন্য পূর্ব ভারতের প্রধান কেন্দ্রের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে গ্রহীতারা দীর্ঘদিন কেটে গেলেও কেন ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের সুযোগ পাচ্ছেন না? ডাক্তার রাজেন পান্ডে বলেন, ‘‘এই বিষয়টা রাজ্য সরকারের দেখার কথা নয়৷ এ জন্য রোট্টো সোট্টো রয়েছে৷ তারাই গ্রহীতাদের তালিকা তৈরি করে৷ তবে আমাদের পরিকাঠামো পুরোপুরি তৈরি৷''
পরিকাঠামো আছে, আছে অঙ্গের চাহিদা৷ তবু কোথাও যে একটা বড় ফাঁক রয়েছে, সেটা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের পরস্পরবিরোধী দাবি থেকেই স্পষ্ট৷ তাই এখনও রিঙ্কু দত্তদের বছরের পর বছর ডায়ালিসিসের যন্ত্রণা সইতে হচ্ছে৷ তাঁর মতো বহু সম্ভাব্য গ্রহীতার প্রতীক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে মরণোত্তর অঙ্গপ্রাপ্তির প্রত্যাশায়৷