মারাদোনা এবং মেসি : আর্জেন্টিনাকে উপেক্ষা করার উপায় নেই
৩ জুন ২০১০দিয়েগো মারাদোনার আর্জেন্টিনা দল শনিবার জোহানেসবার্গ পৌঁছয়৷ বিমানবন্দরে নেমে মারাদোনা রিপোর্টারদের হস্তচুম্বন নিক্ষেপ করেন৷ কিন্তু তিনি অথবা তাঁর সম্ভাব্য বিজয়াস্ত্র লিওনেল মেসি রিপোর্টারদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি৷
১৯৭৮ এবং ১৯৮৬-র বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা এবারকার বিশ্বকাপে সর্বাধিক প্রতিভাধর দলগুলির মধ্যে একটি বলে বিবেচিত হচ্ছে৷ অথচ কোয়ালিফাইং-এ এবার তারা একেবারে শেষ খেলাটিতে জিতে কোনোক্রমে প্লে-অফের হাত থেকে বাঁচে৷ কিন্তু জার্মানি এবং ক্যানাডা'র সঙ্গে দু'টি ফ্রেন্ডলিতে দলের টপ খেলোয়াড়রা খুব ভালো ফর্ম দেখানোর পর স্বভাবতই বিশ্বকাপেও প্রত্যাশা বেড়েছে৷ এমনকি এ্যাতোটাই বেড়েছে যে, মারাদোনা তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ঘোষণা করে বসে আছেন যে, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতলে তিনি বুয়েনস এয়ারেসের কেন্দ্রে বস্ত্রহীন হয়ে চক্কর দেবেন৷
অপরদিকে লিওনেল মেসি বলেছেন যে, তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে এই বিশ্বকাপে বাড়াবাড়ি রকম ভালো খেলার কোনো চাপ অনুভব করছেন না৷ এবং তিনি তাঁর দেশের কল্যাণে তাঁর বার্সেলোনার ক্রীড়াশৈলী পরিবর্তন করার কথাও ভাবছেন না৷ - তবুও, মারাদোনা এবং মেসি যেখানে একত্র হয়েছেন, সেখানে হয়তো স্বয়ং দিয়েগো'র আশা যে, তিনি যেভাবে ১৯৮৬ সালে দলকে উদ্বুদ্ধ করে দেশকে বিশ্বখেতাব এনে দিয়েছিলেন, ২২ বছরের তরুণ মেসি'ও ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় সেই ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি করবেন৷
অথচ মারাদোনা কিন্তু কোচ হিসেবে এযাবৎ ৮০ জনের বেশী প্লেয়ার পরখ করেছেন৷ তদসত্বেও তাঁর ‘আলবিসেলেস্তে' একটি জমাট বাঁধা একক সত্তায় পরিণত হতে পারেনি৷ অথচ মেসি সহ মারাদোনার হাতে এবার যে এ্যাটাকিং লাইন রয়েছে, তা'তে অন্যান্য কোচদের ঈর্ষা হবার কথা৷ এ্যাটাকে আর্জেন্টিনার রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের গঞ্জালো হিগুয়েন, ম্যানচেস্টার সিটি'র কার্লোস টেভেজ, ইন্টার মিলানের দিয়েগো মিলিতো৷ - ডিফেন্সের দায়িত্বে বায়ার্ন মিউনিখের মার্টিন ডেমিকেলিস এবং গাব্রিয়েল মিলিতো৷ মাঝমাঠে রাখা যাবে লিভারপুলের খেলোয়াড় এবং আর্জেন্টাইন ক্যাপ্টেন হাভিয়ের মাশেরানো'কে, এবং সেই সঙ্গে ফের্নান্দো গাগো এবং দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হাভিয়ের জানেত্তি এবং এস্তোবান কাম্বিয়াসো'কে৷
প্রতিবেদন : অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা : দেবারতি গুহ