মার্কিন বাহিনীকে হুঁশিয়ারি তালেবানের
২৪ আগস্ট ২০২১কাবুল বিমানবন্দর এখনো মার্কিন সেনার হাতে। কাবুল থেকে দেশের নাগরিকদের ওই বিমানবন্দরের মাধ্যমেই ফিরিয়ে আনছে বিভিন্ন দেশ। অ্যামেরিকা এখনো পর্যন্ত ৩০ হাজারেরও বেশি নাগরিককে উদ্ধার করে দেশে পাঠিয়েছে। কিন্তু এখনো বহু মানুষ আফগানিস্তানে আটকে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স সহ বহু দেশই জানিয়েছে, ৩১ অগাস্টের মধ্যে দেশের নাগরিকদের উদ্ধার করে আফগানিস্তান থেকে ফেরানো যাবে না। ফলে আরো কিছুদিন ন্যাটো বাহিনীর কাবুল বিমানবন্দরে থাকতে হতে পারে। মঙ্গলবার এ নিয়ে জি-৭ এর বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। তবে অ্যামেরিকা জানিয়েছে, ৩১ অগাস্টের মধ্যেই তারা সমস্ত নাগরিককে উদ্ধারের চেষ্টা করবে।
গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, প্রয়োজনে মার্কিন সেনাকে আরো কিছুদিন কাবুল বিমানবন্দরে রাখা হবে। কিন্তু গত রোববার তিনি মত বদলান। সেদিন হোয়াইট হাউস থেকে তিনি ঘোষণা করেন, ৩১ অগাস্টের মধ্যেই মার্কিন সেনা কাবুল বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাতে রাজি হয়নি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি। তাদের বক্তব্য, ৩১ অগাস্টের মধ্যে সমস্ত নাগরিককে সুরক্ষিত ভাবে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। একই সঙ্গে ভাবতে হবে যৌথ বাহিনীকে সাহায্য করেছিলেন যে আফগানরা, তাদের কথা। তাদেরকেও নিরাপদে আফগানিস্তানের বাইরে নিয়ে যেতে হবে।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস স্পষ্টই জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের বৈঠকে এ বিষয়ে অ্যামেরিকার কাছে জানতে চাওয়া হবে। অন্য দেশগুলি নিজেদের স্পষ্ট অভিমত জানাবে। সকলেই এখন তাকিয়ে আছে, অ্যামেরিকা কী বলে সে দিকে।
এ দিকে তালেবান স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছে, ৩১ অগাস্টের পর এক মুহূর্তও বিদেশি সেনাকে আফগানিস্তানের মাটিতে থাকতে দেওয়া হবে না। যৌথ বাহিনী যদি সেনা না সরায়, তাহলে তার ফল ভুগতে হবে। তালেবান মুখপাত্র সুহেল শাহিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিদেশি সেনা ৩১ তারিখের পরেও থাকলে ধরে নেওয়া হবে, তারা আফগানিস্তানে এখনো জোর করে শাসন চালানোর চেষ্টা করছে। তালেবান তা মেনে নেবে না এবং উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
কাবুল বিমানবন্দরেই অ্যামেরিকা, জার্মানি, যুক্তরাজ্যের সেনা মোতায়েন করা আছে। বিমানবন্দরের বাইরে তালেবান শাসন। এই পরিস্থিতিতে তালেবান বিমানবন্দরে হামলা চালালে পরিস্থিতি আরো জটিল হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বিমানবন্দরে মার্কিন বাহিনীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ফলে তারা সেখান থেকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে চলে গেলে বাকি দেশগুলির সেনা বিমানবন্দর রক্ষা করতে পারবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)