1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আরো কড়া পদক্ষেপ ইইউ-র

২২ জুন ২০২১

মিয়ানমারের জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞা জারি করল ইইউ এবং যুক্তরাজ্য।

https://p.dw.com/p/3vJ8i
মিয়ানমার
ছবি: STR/AFP

মিয়ানমারের উপর আরো চাপ তৈরির পরিস্থিতি তৈরি করল যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সোমবার তারা মিয়ানমারের সেনা পরিচালিত জুন্টা সরকারের আট কর্মকর্তা এবং চারটি সংস্থার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর আগে দুইবার মিয়ানমারের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে বলেছে, 'আমরা চাই না দেশের মানুষ সমস্যায় পড়ুন। কিন্তু জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কোনো উপায় নেই। তাদের আয়ের রাস্তাগুলি বন্ধ করা দরকার।'

মাসকয়েক আগে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিয়ে বিদ্রোহের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সেনা বাহিনী। আপাতত সেনার জুন্টা সরকারই চলছে দেশে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মিয়ানমারের সর্বোচ্চ নেতা অং সান সু চি-কে। সেনা সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলনকেও কড়া হাতে দমন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। মৃত্যু হয়েছে বহু আন্দোলনকারীর। গোটা বিষয়টির নিন্দা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্য। তাদের বক্তব্য, যে ভাবে দেশে নৈরাজ্য তৈরি করেছে নতুন সরকার, তা মেনে নেওয়া যায় না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই ওই সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এবং সে জন্যই তৃতীয়বার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।

যে চারটি সংস্থার বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার প্রতিটিই সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করা হয়েছে। এর মধ্যে মুক্তো প্রস্তুকারক সংস্থা এবং কাঠ রপ্তানিকারক সংস্থা রয়েছে। এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে সেনা বাহিনীর আয় হয় বলে দাবি করেছে ইইউ। সে জন্যই ওই সংস্থাগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সেনা বাহিনীর আয়ের রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছে।

মিয়ানমারের সেনাপ্রধান অবশ্য বিকল্প রাস্তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন। অ্যামেরিকা এবং ইইউ যখন তার সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ব্যবস্থা নিয়ে যাচ্ছে, তিনি তখন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করবেন। দুইবার রাশিয়ায় গিয়ে সেখানকার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। মিয়ানমারেরসেনা বাহিনীকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে রাশিয়া।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্যবস্থা নিলেও রাশিয়া মিয়ানমারের জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে রাশিয়ার কাছ থেকেই সাহায্য পেতে চাইছে মিয়ানমারের সেনা সরকার। প্রাথমিক আলোচনায় লাভ হয়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বস্তুত, রাশিয়ার এই পদক্ষেপের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো তলানিতে গিয়ে ঠেকে কি না, সে দিকে লক্ষ্য রেখেছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)