মেক্সিকোয় মায়া স্কোরবোর্ডের সন্ধান
১৩ এপ্রিল ২০২৩যে পাথরটি আবিষ্কার হয়েছে, সেখানে একটি বল আছে। তার পাশে খেলোয়াড় আছে। আর মাঝখানে মায়া সভ্যতার হায়ারোগ্লিফিক্সে কিছু লেখা আছে। পুরাতাত্ত্বিক প্রাথমিক সন্দেহ, এটি একটি স্কোরবোর্ড। খেলাটির নাম পক টা পক। এক সময় মেসোমেরিকানদের মধ্যে যে খেলা খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল।
সাড়ে ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ওই পাথরটির ওজন প্রায় ৪০ কিলোগ্রাম। পুরাতাত্ত্বিকদের ধারণা, ৬৫০ থেকে ৯০০ সালের মধ্যে তৈরি হয়েছিল ওই স্কোরবোর্ডটি। বস্তুত, ৯০০ শতাব্দীতে শেষ মায়া সাহিত্যের সন্ধান পাওয়া যায়। এই স্কোরবোর্ডটিও একেবারে শেষকালের মায়া সভ্যতার নিদর্শন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে গবেষণা এখনো অনেক বাকি আছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
মেক্সিকোর যে জায়গায় এটি পাওয়া গেছে, সেটি একটি ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইট। চিচেন ইটজা নামের ওই জায়গায় প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ বেড়াতে যান। পুরাতাত্বিকদের বক্তব্য, ওই অঞ্চলে এধরনের মায়া হায়ারোগ্লিফিক্স পাওয়ার কথা নয়। কারণ, ওই অঞ্চলে যে সময়ের মায়া সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়, সে সময় হায়ারোগ্লিফিক্সের ব্যবহার ছিল না। এই পাথরটি ইতিহাস বদলে দিতে পারে।
বস্তুত, ওই সময় পক টা পক খেলা হতো বলেও জানা নেই। ফলে ওই পাথরটি অনেক পরের বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎষ ওই অঞ্চলে পরবর্তীকালেও মায়া সভ্যতা ছড়িয়েছিল বলে পুরাতাত্ত্বিকেরা মনে করছেন। তার ওই পাথরটির ছবি তুলে গবেষণার কাজ শুরু করেছেন।
পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সংস্কৃতি হিসেবে চিহ্নিত মায়া সভ্যতা। উন্নত এই সভ্যতার সন্ধান মেলে যিশুর জন্মের একহাজার বছর আগে থেকে। তবে মায়া সভ্যতা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে ৯০০ শতকে। যে স্কোরবোর্ডটি মিলেছে, তা শেষ সময়ের মায়ার সভ্যতার নিদর্শন বলে মনে করা হচ্ছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ইএফই)