1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেয়েতে মেয়েতে বিয়ে বহুযুগ ধরে হচ্ছে তানজানিয়ায়

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০

একটি মেয়ে বিয়ে করছে আরেক মেয়েকে৷ এমনটা হয়ে থাকলেও বিষয়টা অবৈধ৷ কিন্তু বিশ্বে কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে এটা বৈধ এবং এটাই স্বাভাবিক৷ এমনই একটি দেশ তানজানিয়া৷ তবে পুরো দেশটাতেই এই অবস্থা নয়৷

https://p.dw.com/p/PFx6
ছবি: J. Sorges

তানজানিয়ার একটি উপজাতি কুরিয়া৷ এই সম্প্রদায়ের একটা ঐতিহ্য হলো বয়স্কা মহিলারা প্রয়োজনে বিয়ে করে থাকেন তরুণীদের৷ উদ্দেশ্য, সন্তানের জন্ম দেওয়া, যারা পরিবারের সম্পত্তি দেখে রাখতে পারবে৷

এমনই একজন অ্যানা মিতা৷ বয়স ৬৫৷ পনেরো বছর আগে তিনি বিধবা হয়েছেন৷ তাঁর ঘরে কোন সন্তান ছিলনা যারা ভবিষ্যতে তাঁর সম্পত্তি দেখে রাখতে পারবে৷ তাই বছর দশেক আগে তিনি সিদ্ধান্ত নেন আরেকটি বিয়ে করার৷ সেটা ছিল ২০০৫ সাল৷ সেসময় তিনি বিয়ে করেন ২৩ বছরের জোহারিকে৷ এখন তাঁর রয়েছে দুটি সন্তান৷ একটি ছেলে ও একটি মেয়ে৷ তাই বেশ খুশি মিতা৷

অবশ্য জোহারিকে বিয়ে করার জন্য মিতাকে অনেক যৌতুক দিতে হয়েছে৷ এর মধ্যে ছিল নয়টি গরু এবং বেশ কয়েকটি মদের বোতল সহ আরও অনেক কিছু৷ যৌতুক পাবার কারণে জোহারির বাবা মাও আনন্দে রাজি হয়ে যান এভাবে মেয়েকে বিয়ে দিতে৷

এদিকে এভাবে বিয়ে করে খুশি জোহারিও৷ সে বলছে আমার এবং আমার সন্তানের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা আমি পাচ্ছি৷ এবং আমার যথেষ্ট স্বাধীনতাও রয়েছে৷

Tansania Land und Leute Serengeti Ngorongoro-Krater Zebra
ছবি: J. Sorges

তবে সবাইতো আর জোহারির মতো নয়৷ যেমন, এ ধরণের বিয়ের পক্ষে নন ১৯ বছরের জাচারিয়া৷ তার বিয়ে হয়েছিল এক বয়স্কা মহিলার সঙ্গে৷ কিন্তু সেই মহিলা জাচারিয়াকে প্রতিদিন মারধর করতো৷ ফলে এক সময় জাচারিয়া ঐ মহিলার কাছ থেকে পালিয়ে আসে৷ এখন সে কাজ করে একজনের বাড়িতে৷ এবং এভাবেই সে জীবন চালাচ্ছে৷ জাচারিয়া বলছে, সে ঐ বিয়ের ব্যাপারটা ভুলে থাকতে এখন নিয়মিত মাদক সেবন করছে৷ তার বক্তব্য, তার বাবা যৌতুকের কারণে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছিলেন৷

উল্লেখ্য, তানজানিয়ায় মেয়েতে মেয়েতে বিয়ে অবৈধ৷ কিন্তু একমাত্র কুরিয়া সম্প্রদায়ের জন্যই এটা ব্যতিক্রম৷ আফ্রিকার অনেক জায়গাতেই একসময় এ ধরণের বিয়ের বেশ প্রচলন ছিল৷ কিন্তু ধীরে ধীরে সেটা কমে আসছে৷ এখন নাইজিরিয়ার দক্ষিণ পূর্বের কিছু জায়গায় এ ধরণের বিয়ের চল দেখা যায়৷

প্রতিবেদন জাহিদুল হক

সম্পাদনা সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়