ম্যাচ ফিক্সিং
২৮ মে ২০১২মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল৷ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ৩ জনকে গৃহবন্দি করা হয়েছে৷ ২ জনকে পুলিশের কাছে তলব করা হয়েছে৷ এই ১৯ জনের মধ্যে ১১ জন হয় বর্তমান বা অতীতের খেলোয়াড়৷ তারা ঘুস নিয়ে ম্যাচের ফলাফল বদলে দেবার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ৷ তবে এসব নাকি ঘটেছে দেশের মধ্যেই, ক্লাব ফুটবল জগতে৷ সাত-আটটি ম্যাচকে ঘিরে এই সন্দেহ জোরদার হয়েছে৷ সেগুলি দেখে তদন্তকারীদের সন্দেহ হচ্ছে, মোটেই স্বাভাবিক ছন্দে ফুটবল খেলা হয় নি৷
গোটা দেশে পুলিশ একযোগে ধরপাকড় ও তল্লাশি চালিয়েছে সোমবার৷ ফুটবল ম্যাচ নিয়ে অবৈধ উপায়ে বাজি ধরে যে গোষ্ঠী, তার চাঁই নাকি বসে আছে সিঙ্গাপুরে৷ ফ্লোরেন্স শহরের কাছে জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ শিবিরেও তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ৷ ভোর সাড়ে ছ'টা নাগাদ দু'টি পুলিশের গাড়ি সেখানে আসে৷ প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশ চলে যায়৷
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় নাম দেখে বিস্মিত ইটালির মানুষ৷ তাতে রয়েছেন লাৎসিও ক্লাবের ক্যাপ্টেন স্টেফানো মাউরি৷ আছেন জেনোয়া ও ফিওরেন্টিনা ক্লাবের প্রাক্তন মিডফিল্ডার ও পাদুয়া ক্লাবের বর্তমান খেলোয়াড় ওমার মিলানেটো৷
অন্য কোনো সময় এমন কেলেঙ্কারির কথা ফাঁস হয়ে গেলে না হয় পরিস্থিতি হয়তো কিছুটা সামলানো যেত৷ কিন্তু ইউরো ২০১২ ফুটবল প্রতিযোগিতার মাত্র দুই সপ্তাহ আগে এমন বিপর্যয়ের ফলে ফুটবল কর্মকর্তাদের মাথায় হাত৷
মঙ্গলবারের মধ্যে ইউরোপীয় ফুটবল সংগঠন উয়েফা'র হাতে সব জাতীয় দলের চূড়ান্ত তালিকা পেশ করতে হবে৷ ২৩ জনের এই টিমে একবার কারো নাম উঠে গেলে পরে তার বদলে অন্য কোনো খেলোয়াড় নেওয়া চলে না৷ ফলে কোনো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের ঝুঁকি থাকলে তাকে জাতীয় দলে রাখার পক্ষে যুক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন৷ ফলে সবার আগে বাদ পড়েছেন দোমেনিকো ক্রিশিটো৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন (এএফপি, ডিপিএ, এপি)
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ