1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যখন আম গাছে নয়, কার্বাইডে পাকে

৩ জুলাই ২০১১

অথবা যখন চট্টগ্রামে ধস নামা সত্ত্বেও সিলেটে অবাধ টিলা কাটা চলে৷ এভাবেই গণমাধ্যমে ফুটে ওঠে প্রগতি, আধুনিকীকরণ, বিশ্বায়নের ভাঙাগড়ার এক বেদনাদায়ক ছবি৷

https://p.dw.com/p/11o37
অমৃতফলে বিষ?ছবি: flickr/chooyutshing

আমের মরশুমে কু'ডাক৷ বিষয়টি নিয়ে প্রথম আলোয় একটা নয়, পাঁচটা প্রতিবেদন বেরিয়েছে৷ উদ্বেগ ফলমূলে রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ে৷ দেশে প্রাকৃতিকভাবে ফল পাকানো কমে যাচ্ছে৷ বাড়ছে কার্বাইড ও ইথেফন দিয়ে ফল পাকানোর প্রবণতা৷ সেই সঙ্গে আছে ফর্মালিন৷

অথচ এ'সবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে আদালতের আদেশ আছে৷ মে মাসে উচ্চ আদালত ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ফর্মালিন ও রাসায়নিকের প্রয়োগ নিষিদ্ধ করেন৷ কিন্তু ফল গাছে থাকা অবস্থায় ইথেফন ব্যবহারের অনুমোদন আছে৷ কিন্তু এ'সব নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ যে অনেক ব্যবসায়ী, ফড়িয়া, এমনকি চাষীরাও মানছেন না, বাজারে ফল কিনিয়ে গবেষণাগারে তা পরীক্ষা করিয়ে প্রমাণ পেয়েছেন প্রথম আলোর প্রতিবেদকরা৷

একবারে সব ফল পাকিয়ে, তা'তে সুন্দর রঙ ধরিয়ে দূর-দূরান্তের বড় শহরগুলোতে বিক্রি করা, এই হল ব্যবসা৷ অথচ জনস্বাস্থ্যের উপর এই সব রাসায়নিক ব্যবহারের দীর্ঘমেয়াদী ফল মারাত্মক হতে পারে৷ এক কথায়, মারাত্মক ফল৷

Indien Mango Mädchen Frucht Obst Flash-Galerie
ও কার্বাইড কি ইথেফনের কিছুই জানে না৷ছবি: picture-alliance/dpa

ওদিকে চট্টগ্রামের বাটালি হিলে যখন ধস নামছে, ঠিক তখনই সিলেটে টিলা কাটা চলেছে৷ ইত্তেফাকের প্রতিবেদন তা'ই বলে৷ বিয়ানীবাজার, বড়লেখা ও গোলাপগঞ্জের ১৫টি গ্রামে অবাধে টিলা কাটা চলেছে৷ টিলার নীচে প্রায় পাঁচশো বাড়িঘর৷ ভারী বর্ষায় যে কোনো সময় টিলা ধসে পড়তে পারে৷ দৃশ্যত স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছেন৷ আবার টিলায় গভীর গর্ত করে চুনামাটি সংগ্রহ করে পলিথিনের বস্তায় ভরে ঢাকা পাঠানো হচ্ছে সেরামিক তৈরীর কাজে৷

প্রগতির সঙ্গে অধোগতির যেন কোনো আশ্চর্য সংযোগ আছে৷ যে কারণে চলচ্চিত্র শিল্পের ঘোর দুর্দিন নিয়ে সমকালের প্রতিবেদন৷ বিশ বছরে দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা হাজার দেড়েক থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ছ'শোর কিছু বেশিতে৷ মালিকরা বলছেন, দেশে কম ছবি তৈরী হচ্ছে, এবং ভালো ছবি খুব কম তৈরী হচ্ছে৷ তবে তারা আসলে মার খাচ্ছেন কেবল্, ভিডিও, স্যাটেলাইট - অর্থাৎ আধুনিক প্রযুক্তির কাছে৷

গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম