রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ
বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ এবং বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় রাজস্ব আদায়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে৷
টিআইএন নম্বরধারীর সংখ্যা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর বলছে, গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ৮৪ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৪ জন কর শনাক্তকরণ (টিআইএন) নম্বরধারী ছিলেন৷
কতজন রিটার্ন জমা দেন?
প্রতি তিনজন টিআইএন নম্বরধারীর মধ্যে মাত্র একজন বছর শেষে আয়-ব্যয়ের খবর জানিয়ে রিটার্ন জমা দেন৷ তবে বেশিরভাগ নিবন্ধিত করদাতার কাছ থেকে নানাভাবে উৎসে আয়কর কেটে রাখা হয়৷
কর-জিডিপি অনুপাত
একটি দেশের জিডিপির কত অংশ কর থেকে আসে সেটা জানা যায় কর-জিডিপি অনুপাত থেকে৷ বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে (https://shorturl.at/sOS69) প্রকাশিত তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত ছিল ৭.৬ শতাংশ৷ একই বছর নেপালে এই অনুপাত ছিল ১৭.৮ ও শ্রীলঙ্কায় ৭.৩ শতাংশ৷ এদিকে বিশ্ব অর্থনীতির তথ্য প্রদানকারী সংস্থা সিইআইসি বলছে, গত ডিসেম্বরে ভারতের কর-জিডিপি অনুপাত ছিল ৭.৮ শতাংশ৷ পাকিস্তানের ছিল ৫.৬ শতাংশ৷
আইএমএফ-এর শর্ত
বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)৷ তবে কিছু শর্ত দিয়েছে তারা৷ এর একটি অনুযায়ী, আগামী ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে কর-জিডিপি অনুপাত ৯.৫ শতাংশ করতে বলা হয়েছে৷
রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত
রাজস্ব আদায়ের বিভিন্ন উৎসের মধ্যে একটি আয়কর৷ এছাড়া আছে পণ্য ও সেবা কর, কর্পোরেট কর, আবগারি শুল্ক ইত্যাদি৷ আইএমএফ-এর ওয়েবসাইটে (https://shorturl.at/goDLM) দেয়া তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত ছিল ৯.৩৬ শতাংশ৷ একই বছরে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতে এই অনুপাত ছিল ভারত (২০.১৬), পাকিস্তান (১২.৪৩), ভুটান (৩৩.১৬) ও শ্রীলঙ্কা (৮.২৮)৷
১০ দেশের মধ্যে দশম
অর্থ মন্ত্রণালয় গতবছর বাংলাদেশের প্রতিযোগী ১০ দেশের রাজস্ব-জিডিপি অনুপাতের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেছিল৷ এতে দেখা যায়, বাংলাদেশের অনুপাত সবচেয়ে কম- মাত্র ১০.০১ শতাংশ৷ ২০২৬ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে এলডিসি থেকে বের হতে যাওয়া নেপালের অনুপাত ২২.৩৬, লাওসের ১৪.৮৪৷ অন্য দেশগুলোর (শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, ভারত, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া) অনুপাত সাড়ে ১১ থেকে ২৪ শতাংশ৷