রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী সহিংসতা
৪ মে ২০২১নির্বাচন শেষ। ফল প্রকাশ হয়ে গেছে। কিন্তু নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা এখনো কমেনি পশ্চিমবঙ্গে। ভোট পরবর্তী সহিসংতায় প্রাণ যাচ্ছে বহু মানুষের। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। যার জেরে নতুন সরকার গঠনের আগেই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাকে ফোন করেছিলেন। যার জবাবে তৃণমূল জানিয়েছে, 'প্রধানমন্ত্রী কোভিড মোকাবিলার ব্যবস্থা করুন। বিজেপির আইটি সেলের বানানো ভিডিও দেখে উত্তেজিত হবেন না।'
নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই রাজ্য জুড়ে সহিংসতার খবর। খোদ কলকাতাতেও একাধিক জায়গায় উত্তাপ ছড়িয়েছে। সিপিএম এবং বিজেপি দুই পক্ষেরই অভিযোগ, আক্রমণ চালাচ্ছে বিজয়ী দল তৃণমূল। একাধিক খুনের অভিযোগও উঠছে। সোমবার বিজেপি একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, অন্তত ছয়জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
সমাজমাধ্যমে অসংখ্য সহিংসতার ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। সিপিএম-ও একাধিক জায়গায় আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ করছে। শুধু তাই নয়, এবারের নির্বাচনে বেশ কিছু বামপন্থি সংগঠন 'নো ভোট টু বিজেপি' বলে একটি প্রচার চালাচ্ছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সংগঠনের কর্মীদের বাড়িতেও তৃণমূল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, কেউ যেন সহিংসতার পথ বেছে না নেয়। তবে কোনো দলের নাম তিনি করেননি। তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, বিজেপিও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। অভিযোগ, বিজেপি বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক করার চেষ্টা করছে।
সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ অস্বীকার করলেও রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা কলকাতায় এসেছেন। দলের নিহত কর্মীদের বাড়িতে যাওয়ার কথা তার। ৫ মে রাজ্য জুড়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবারও বেশ কিছু জায়গায় তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)