রাটকো ম্লাদিচ নির্দোষ? দাবি করছেন পুত্র
৩০ মে ২০১১রাটকো ম্লাদিচের গ্রেপ্তারের খবর শুনে তাঁর রাজনৈতিক দল ‘আল্ট্রা ন্যাশনালিস্ট'-এর সমর্থকরা প্রতিবাদ জানায়৷ তারা রাটকো ম্লাদিচকে ‘সার্বিয়ার হিরো' বলে শ্লোগান দিতে থাকে৷ প্রায় দশ হাজার মানুষ সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে জড়ো হয়৷ প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ রাখার লক্ষ্য পুলিশ নামানো হয় রাস্তায়৷ এক পর্যায়ে পুলিশের দিকে আগুনের গোলা এবং পাথর ছুঁড়ে মারতে থাকে বিক্ষোভকারীরা৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভিকা দাচিচ টেলিভিশনে জানান, সবমিলে প্রায় ১১১ জনকে আটক করা হয়েছে৷ এর মধ্যে ৩৭ জন নাবালক৷ দশ জন সাধারণ মানুষ এবং ২৬জন পুলিশ গুরুতর জখম হয়েছে৷
এর আগে রাটকে ম্লাদিচের পুত্র ডার্কো ম্লাদিচ জনসম্মুখে জানান, তাঁর বাবা স্রেব্রেনিৎসা হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না৷ স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় আট হাজার মুসলমান পুরুষ এবং অল্প বয়স্ক ছেলেকে হত্যা করা হয়৷ ডার্কোর দাবি তাঁর বাবা এর সঙ্গে জড়িত নন৷ তাঁর বাবা তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন তিনি৷
ডার্কো ম্লাদিচ এবং তাঁর মা শনিবার রাটকো ম্লাদিচকে সঙ্গে সার্বিয়ার যুদ্ধাপরাধ আদালতে দেখা করতে গিয়েছিলেন৷ ডার্কো ম্লাদিচ জানান, তাঁর বাবা হাজার হাজার নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধার জীবন বাঁচিয়েছেন৷ যেসব জায়গায় হত্যাযজ্ঞ চলছিল সেখান থেকে তাদের সরিয়ে নিতে সাহায্য করেছেন তাঁর বাবা৷ হত্যাযজ্ঞের পিছনে অন্যরা সক্রিয় ছিল কিন্তু তাঁর বাবা এসবের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না৷
৬৯ বছর বয়স্ক রাটকো ম্লাদিচকে হয়তো আগামী সপ্তাহের মধ্যে নেদারল্যান্ডসের ডেন হাগে স্থানান্তরিত করা হবে৷ সেখানে জাতিসংঘের যুদ্ধপরাধ ট্রাইবুনালে রাটকো ম্লাদিচের বিচার কাজ শুরু করা হবে৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়