রাশিয়ার পরমাণু মহড়ার মাঝে বাড়তি জার্মান সাহায্যের সম্ভাবনা
২২ মে ২০২৪রাশিয়ার প্রবল হামলার মুখে ইউক্রেনের প্রতিরোধের ক্ষমতা আরো কতকাল অটুট থাকবে, বিভিন্ন মহলে সে বিষয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে৷ পশ্চিমা বিশ্ব থেকে যথেষ্ট অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম হাতে না পাওয়ায় ইউক্রেনে ক্ষোভও বাড়ছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক অঘোষিত কিয়েভ সফরে এসে যথেষ্ট সহায়তার অভাব নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন৷ জার্মানি যথাসাধ্য সাহায্য করলেও ইউরোপের বাকি দেশের ভূমিকা নিয়ে তিনি পরোক্ষভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিউস চলতি বছর ইউক্রেনের জন্য সহায়তা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছেন, বেয়ারবকও সেই উদ্যোগের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন৷ তাঁর মতে, ইউরোপে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এমন ব্যতিক্রমি পরিস্থিতিতে বাজেটের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম করতে হবে৷ রাশিয়ার আক্রমণাত্মক যুদ্ধ ইউরোপের আরো গভীরে প্রবেশ করার আগে এমন পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এমন নিষ্ক্রিয়তার কড়া মূল্যায়ন হবে বলে বেয়ারবক মনে করেন৷ জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসারও বাড়তি সহায়তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন৷ বেয়ারবক জার্মানির ‘নিরাপত্তা বাজেট'-এর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন৷ জার্মানির বিল্ড সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী পিস্টোরিউস চলতি বছর ইউক্রেনের জন্য বাড়তি ৩৮০ কোটি ইউরো অংকের সহায়তার পরিকল্পনা করছেন৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী জার্মান সরকার ইউক্রেনের জন্য আগেই ৭১০ কোটি ইউরো ধার্য করেছিল৷
রাশিয়া আগের ঘোষণামতো মঙ্গলবার থেকে ‘ট্যাকটিকাল' পরমাণু অস্ত্রের মহড়া শুরু করেছে৷ ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলির আরও সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপটে এই মহড়াকে সতর্কবাণী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে৷ পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ইউক্রেন সীমান্তের কাছে কিনজাল ও ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সামরিক মহড়ার মাধ্যমে রাশিয়া শক্তি প্রদর্শন করছে৷ যুদ্ধক্ষেত্রের জন্যই এমন ‘ট্যাকটিকাল' পরমাণু অস্ত্র উপযুক্ত হিসেবে গণ্য করা হয়৷
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর সম্ভাবনা নীতিগতভাবে উড়িয়ে দিচ্ছেন না৷ ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর দেশের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার ভূখণ্ডে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছেন৷ ইউক্রেনের পশ্চিমাংশে রাশিয়ার হামলা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ন্যাটোর ভূখণ্ড থেকে সক্রিয় ভূমিকার প্রস্তাব উঠছে৷ এমন সব ভাবনাচিন্তাকে রাশিয়া ন্যাটোর সঙ্গে উত্তেজনা আরো বাড়ার লক্ষণ হিসেবে গণ্য করছে৷ ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গত ৬ই মে বলেছিলেন, যে মাক্রোঁ ও অন্যান্যদের বিবৃতির জের ধরেই পরমাণু অস্ত্রের মহড়া চালানো হচ্ছে৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এপি)