1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগ

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য আরো একটি ধাক্কা৷ যুক্তরাষ্ট্রে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের ব্যাপারে ভুল তথ্য প্রদানের দায়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন মাইকেল ফ্লিন৷

https://p.dw.com/p/2XWEb
USA General Michael Flynn
ছবি: picture alliance/dpa/M. Reynolds

ট্রাম্প প্রশাসনের ‘উত্তরণ' পর্যায়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একাধিক বার ফোনে কথা বলেন মাইকেল ফ্লিন৷ কিন্তু ওইসব টেলিফোনালাপের বিষয় সম্পর্কে তিনি দৃশ্যত ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের ‘অসম্পূর্ণ তথ্য' দিয়েছেন বলে ফ্লিন তাঁর পদত্যাগপত্রে স্বীকার করেছেন৷

‘‘দুঃখের বিষয়, ঘটনাবলীর ক্ষিপ্রতার কারণে, আমি অজ্ঞানতাবশে ভাইস প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ও অন্যান্যদের রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার ফোনালাপ সম্পর্কে অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছি,'' তাঁর চিঠিতে লেখেন ফ্লিন৷

রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর ফোনালাপের বিষয় নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ও বিতর্ক শুরু হয়ে যাবার পর মাইকেল ফ্লিন স্বীকার করেন যে, তিনি হয়তো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েও রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, যদিও তা শতকরা ১০০ ভাগ নিশ্চিত করে বলা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়৷

‘ওয়াশিংটন পোস্ট' পত্রিকা গত সপ্তাহে জানায় যে, ফ্লিন ২৯শে ডিসেম্বর তারিখে রুশ রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে মস্কোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন৷ ঠিক সেই দিনই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নির্দেশ দেন৷ ফ্লিন-কিসলিয়াক ফোনালাপগুলির আড়ি-পাতা অনুলিপি থেকে দেখা যায় যে, ফ্লিন রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে কথাবার্তা বলেছেন৷ মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা প্রথম এই আড়ি-পাতা অনুলিপিগুলির খবর দেন৷

ফ্লিনের এই ফোনালাপ সম্ভবত তথাকথিত ‘লোগান অ্যাক্ট' বা লোগান আইন লঙ্ঘণ করেছে৷ ঐ আইন অনুযায়ী বেসরকারি নাগরিকরা বিদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কূটনীতিতে সংশ্লিষ্ট হতে পারেন না৷ যদিও ফ্লিন সম্ভবত ভাইস প্রেসিডেন্টকে ভুল ধারণা দেবার কারণেই বিদায় নিতে বাধ্য হলেন বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত৷

সোমবার জানা যায় যে, আইন বিভাগ ট্রাম্প প্রশাসনকে বেশ কয়েক সপ্তাহ আগেই সাবধান করে দিয়েছিল যে, ফ্লিন তাঁর টেলিফোনালাপের প্রকৃতি ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের সঠিক বিবরণ দেননি৷ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সংবাদ সংস্থা বিভিন্ন সূত্র থেকে এ খবর জানতে পারে৷

তৎকালীন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল স্যালি ইয়েট্স বলেন যে, এই ফোনালাপের কারণে ফ্লিনকে ব্ল্যাকমেল করাও সম্ভব হতে পারে৷

ট্রাম্প অবসরপ্রাপ্ত লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলগকে অস্থায়ী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেছেন৷

আরএস/এসি/এসিবি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান