রেকর্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল ব্রাজিলের মানুষ
ব্রাজিলে গত সপ্তাহ পর্যন্ত টানা কয়েকদিন তীব্র তাপদাহ চলেছে৷ ১৭ মার্চ রিও ডি জেনেইরোতে অনুভূত তাপমাত্রা (ফিলস লাইক) ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলেছিল, যা একটি রেকর্ড৷
সূর্য এড়িয়ে চলুন, প্রচুর পানি পান করুন
সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ আগে রিও ডি জেনেইরোর বাসিন্দারা সাগরের পানিতে গা ভিজিয়ে স্বস্তির খোঁজ করছেন৷ তীব্র তাপদাহ থেকে বাঁচতে শহর কর্তৃপক্ষ সূর্যের আলো এড়িয়ে চলতে ও প্রচুর পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছে৷
পানি দিয়ে খেলা
গত নভেম্বরে ব্রাজিলে টানা কয়েকদিন বেশ গরম ছিল৷ সেই সময় প্রকৃত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও অনুভূত তাপমাত্রা (ফিলস লাইক) সর্বোচ্চ ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল৷ দেশটির আবহাওয়া ইনস্টিটিউট সেইসময় ১৫টি রাজ্য ও রাজধানীর পরিস্থিতি ‘বেশ বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করেছিল৷
সুইমিংপুলে স্বস্তির খোঁজে
১৭ মার্চ রিও ডি জেনেইরোর গুয়ারাটিবা এলাকায় অনুভূত তাপমাত্রা (ফিলস লাইক) ৬২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল৷ ২০১৪ সালে তাপমাত্রার হিসেব রাখা শুরুর পর এটিই ছিল সর্বোচ্চ অনুভূত তাপমাত্রা৷ ঐদিন রিওর প্রকৃত তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ তাই সুইমিংপুলগুলোতে ছিল বেশ ভিড়৷
কোপাকাবানা সৈকতে মানুষের ঢল
অনুভূত তাপমাত্রা বলতে বোঝায় একজন মানুষ কী পরিমাণ তাপমাত্রা অনুভব করছে৷ এটি শুধু বাতাসের প্রকৃত তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে না৷ আর্দ্রতাও এতে প্রভাব ফেলে৷
পানির ফোয়ারাকে ধন্যবাদ
সাও পাওলোতে তীব্র তাপদাহ ছিল৷ সে কারণে অনেককে পানির ফোয়ারায় গা ভেজাতে দেখা গেছে৷
সুইমিংপুলে ভিড়
সাও পাওলোর এক সুইমিংপুলের এই ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে যেন পিঁপড়েরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে৷ শহরটিতে দৈনিক গড় তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকায় সেটিকে ব্রাজিলের অন্যতম শীতল এলাকা বলে মনে করা হয়৷ তবে গত সপ্তাহে সেখানেও তাপমাত্রা অনেক বেশি ছিল৷
প্রেসিডেন্টও অতিষ্ঠ
সোমবার ব্রাসিলিয়ায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট লুলা ডা সিলভাকেও ঘামতে দেখা গেছে৷ তবে বুধবার থেকে ব্রাজিলে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে, বৃষ্টিও হচ্ছে৷