লিভারের রোগীদের জীবন সহজ করার গবেষণা
২২ জানুয়ারি ২০১৯নিয়মিত হাসপাতালে যাওয়া থেকে রোগীদের মুক্তি দেয়ার লক্ষ্যে সুইজারল্যান্ডের নয়শাটেলে এই গবেষণা চলছে৷ বিজ্ঞানীরা এমন এক পদ্ধতি বের করার চেষ্টা করছেন, যা দিয়ে রোগীরা তাঁদের ক্ষতিগ্রস্ত লিভার পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন৷
নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেমস ওর বলছেন, ‘‘আমরা রোগীদের চিকিৎসাসেবার মান উন্নত করার চেষ্টা করছি যেন মনিটরিং চলাকালীন তাঁদের শরীর খারাপ হওয়ার সংখ্যাটা কমে৷ আমরা এতে সফল হলে রোগীদের জীবনযাপনের মান কিছুটা উন্নত হবে, কারণ, তাঁদের হাসপাতালে কম যেতে হবে৷ রোগীদের কথা বিবেচনা করলে এটি অন্যতম এক সুবিধা৷''
আরেক গবেষক স্টেফান ডাসেন একটি যন্ত্র দেখিয়ে বললেন, ‘‘এই যন্ত্র দিয়ে ‘ক্লট' বা পিণ্ড গঠন করতে রক্তের কত সময় লাগে, তা জানা যায়৷ এছাড়া রক্তে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্রিয়েটিনিন, অ্যালবুমিন, বিলিরুবিন ইত্যাদির মাত্রা কত, তা-ও পরিমাপ করা যায়৷ এসবের মাত্রা খুব বেশি বা খুব কম হলে ধরে নিতে হবে, লিভারে সমস্যা হয়েছে৷''
এই যন্ত্র দিয়ে রোগীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হৃদস্পন্দনের মাত্রা, ত্বকের তাপমাত্রা বারক্তচাপ ইত্যাদিও মাপতে পারবেন৷ নিয়মিতভাবে রক্তের চাপ পর্যবেক্ষণ করা একটি চ্যালেঞ্জের কাজ৷
আরো কিছু পরীক্ষানিরীক্ষার পর শিগগিরই যন্ত্রটি বাজারে আনা সম্ভব হবে বলে গবেষকরা আশা করছেন৷
প্রকল্পের সমম্বয়ক ক্যালাম ম্যাকনিল বলছেন, ‘‘শরীরের অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখার মতো শরীরে পরা এই যন্ত্র খুব শিগগিরই বাজারে আসার মতো পর্যায়ে রয়েছে৷ আর রক্তের বায়োকেমিস্ট্রি মাপার যন্ত্র আসতে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে৷ স্মরণশক্তি, নতুন কিছু শেখা, সিদ্ধান্ত নেয়া – এ সব সক্ষমতা কী অবস্থায় আছে, তা মাপার যন্ত্র এক বছরের মধ্যেই চলে আসতে পারে৷''
জেডএইচ/এসিবি