লেডি গাগা
১ মার্চ ২০১২মার্কিন মুলুকের প্রখ্যাততম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্যতম হার্ভার্ডের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি লেডি গাগা'র বাণী, ইস্কুলে ‘বুলিইং', অর্থাৎ গায়ের জোরি ও জোর যার মুলুক তার'এর বদলে প্রয়োজন হল ‘প্রেমের সংস্কৃতির'৷ হল ভর্তি ছাত্র-ছাত্রী ও অধ্যাপকদের সামনে লেডি গাগা জানালেন, তিনি সমস্যার কোনো সমাধান দিতে আসেননি এবং তার নিধি কোনো ‘বুলিইং' প্রতিরোধী নিধিও নয়৷ এ'টি হল একটি যুব ক্ষমতায়ন নিধি৷ এর উদ্দেশ্য হল, স্কুলের পরিবেশে পরিবর্তন আনা৷
ছোট ছোট সহৃদয় কাজের মাধ্যমে দুনিয়াটাকে বদলানো খুব শক্ত নয়, বলে লেডি গাগা মনে করেন৷ যেমন যাদের উপর গয়ের জোরি করা হচ্ছে, অথবা যাদের সময়টা খারাপ চলেছে, তাদের সাহায্য করা৷ আবার যারা অন্যদের উপর গায়ের জোরি চালাচ্ছে, তাদের কাছেও পৌঁছনো দরকার৷ জানা দরকার, তাদের রাগটা কেন এবং কোথা থেকে আসছে৷
কাজেই তার নিধি স্কুলে এবং পাড়ায় পাড়ায় নিরাপত্তা বাড়ানোয় সাহায্য করবে৷ মানুষজনকে দরদী ও সহিষ্ণু হতে শেখাবে৷ এবং তারপর তাদের নিজেদের মনোভাব ব্যক্ত করার পথ খুঁজতে সহায়তা করবে৷ লেডি গাগা'র সঙ্গে ছিলেন টক শো কুইন অপ্রা উইনফ্রে৷ তিনি বললেন, তার কাছে এটা একটা নিধি নয়, এটা একটা আন্দোলন৷
বলতে কি, লেডি গাগা নিজেই একটা আন্দোলন৷ বহু সাক্ষাতকারের ফাঁকে-ফোকরে তিনি আভাস দিয়েছেন যে, ইস্কুলে তিনি একটা ‘ফ্রিক', মানে আজব চিঁড়িয়া বলেই গণ্য হতেন৷ খ্যাতি তাকে সেই বিচ্ছিন্নতার দিনগুলি ভোলাতে পারেননি৷ তাই সমাজ যাদের প্রত্যাখ্যান করে, কিংবা প্রত্যাখ্যান না করলেও দূরে দূরে রাখে, তাদের জন্য চিরকালই সরব হয়েছেন তিনি৷
‘ফ্রিক' থেকে লেডি গাগা হওয়ার অভিজ্ঞতাই তাকে সাহায্য করেছে৷ তার হিট সিঙ্গল এবং অ্যালবাম ‘বর্ন দিস ওয়ে'-র অর্থই তো তাই: আমি যা, আমি তাই৷ আমাকে এ'ভাবেই মেনে নিতে হবে তোমাদের৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ