শাহজাহানকে জেরা শুরু করলো সিবিআই
৭ মার্চ ২০২৪কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, সওয়া চারটের মধ্যে সন্দেশখালি-কাণ্ডের নায়ক শেখ শাহজাহানকে সব নথিপত্র-সহ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে রাজ্য পুলিশকে। সুপ্রিম কোর্টওবলে দিয়েছিল, শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতেই দিতে হবে। এরপর আর রাজ্য পুলিশের পক্ষে শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
তবে সিবিআই নির্ধারিত সওয়া চারটের সময় শাহজাহানকে পায়নি। তাকে হাতে পেতে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেছে। শাহজাহানকে নিয়ে পুলিশ মেডিকেল পরীক্ষা করিয়ে তারপর সিবিআইয়ের কাছে দেয়। রাতেই দুই ঘণ্টা ধরে জেরা করে সিবিআই কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবার জেরা শুরু হয়েছে।
শাহজাহানকে নিয়ে সিবিআইয়ের প্রশ্নমালা তৈরি আছে। প্রায় আড়াইশ প্রশ্ন তৈরি করে রেখেছেন সিবিআই কর্মকর্তারা। তার মধ্যে জমিদখল করে ভেড়ি, নারীদের পার্টি অফিসে ডেকে নির্যাতন করা, ইডি অফিসারদের মারধর, শাহজাহানের নিজস্ব বাহিনী, সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার-সহ অনেক বিষয়ই আছে। সেই সঙ্গে তারা শাহজাহানের ক্ষমতার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইবেন। তার সঙ্গে আর কারা জড়িত সেই বিষয়েও তদন্ত চলবে।
সিবিআই সূত্রে জানিয়েছে, হাসপাতালের নির্দেশমতো হালকা খাবার দেয়া হয়েছে শাহজাহানকে। যে ঘরে পার্থ, অনুব্রতদের রাখা হয়েছিল, সেখানেই শাহজাহানকে রাখা হয়েছে। শাহজাহান বৃহস্পতিবার সকালে সিবিআই কর্মকর্তাদের বলেছে, রাতে তার ভালো ঘুম হয়নি।
বস্তুত গ্রেপ্তার হওয়ার পর বসিরহাট আদালতে শাহজাহানের মধ্যে বেপরোয়া ভাব দেখা গিয়েছিল। যে ভাবে সে হাঁটছিল, পুলিশ যেভাবে তাকে ছেড়ে রেখেছিল, সে সবই ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। তবে সিবিআইয়ের হাতে দেয়ার পর সেই শাহজাহানের শরীরের ভাষা বদলে গেছে। বুধবার তাকে যথেষ্ট চিন্তিত দেখিয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে
বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল। সেখানেও শাহজাহান প্রসঙ্গ ওঠে। আনন্দবাজার জানাচ্ছে, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, রাজ্য সরকার শেখ শাহজাহানের বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেছে। তারপরেও তাকে সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অন্য প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এক সাবেক বিচারপতি সুবিধাবাদীদের মতো কাজ করেছেন।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই, টিভি৯)