শূকর ঠেকাতে সীমান্তে বেড়া
২৩ মার্চ ২০১৮সম্প্রতি পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে৷ ডেনমার্কের আশংকা, এই ভাইরাসবাহী কোনো বুনো শূকর হয়ত জার্মান সীমান্ত দিয়ে ডেনমার্কে ঢুকে পড়তে পারে৷ তেমনটি হলে ডেনমার্কের খামারগুলোতে থাকা শূকরের শরীরেরও সেই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে৷ ফলে ইউরোপের বাইরে যেসব দেশে ডেনমার্ক শূকর রপ্তানি করে, তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছে দেশটি৷ ঐ দেশগুলোতে প্রতিবছর গড়ে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ শূকরের মাংস রপ্তানি করে ডেনমার্ক৷
বেড়া দেয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে ডেনমার্কের পরিবেশ ও খাদ্য বিষয়ক মন্ত্রী এসবেন লুন্ডে লারসেন বলেন, ‘‘আমি কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না৷ আমরা বার্ষিক ১১ বিলিয়ন ক্রোনারের (১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার) রপ্তানি খাত নিয়ে ঝুঁকি নিতে পারি না৷’’
ইউরোপের বাইরের দেশ ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও শূকর রপ্তানি করে ডেনমার্ক৷ সবমিলিয়ে গড়ে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয় করে দেশটি৷
আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার মানুষ ও অন্য প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর না হলেও শূকরদের জন্য সেটি প্রাণঘাতী হতে পারে৷ এছাড়া এই রোগের কোনো টিকা এখনও নেই৷
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ডেনমার্ক-জার্মান সীমান্তে ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়া নির্মাণ করা হবে৷ উচ্চতা হবে দেড় মিটার৷ আর মাটির নীচে থাকবে আধা মিটার৷
এছাড়া বুনো শূকর শিকারের নিয়মকানুন আরও সহজ করেছে ডেনমার্ক৷ ফলে এখন থেকে শিকারিরা রাতেও শূকর শিকার করতে পারবেন৷ বুনো শূকরের কাছ থেকে খামারে পালিত শূকরদের বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷
এর আগে জার্মানিও শূকর শিকারের নিয়ম সহজ করেছে৷ ফলে শিকারিরা এখন সারা বছরই বুনো শূকর মারতে পারবেন৷ এর আগে শুধু মধ্য জুন থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত শিকার করার অনুমতি ছিল৷
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত চেক প্রজাতন্ত্র, রোমানিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়ায় আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার ভাইরাসের আক্রমণের খবর পাওয়া গেছে৷
পোল্যান্ডও তাদের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তে বেড়া দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)