শেঙেন বাঁচাতে ইইউ মন্ত্রীদের চেষ্টা
২৫ জানুয়ারি ২০১৬২০১৫ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ১০ লক্ষেরও বেশি শরণার্থী প্রবেশ করেছে৷ এখনও প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার করে শরণার্থী ঢুকছে৷ এর একটি বড় অংশ তুরস্ক থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসে ঢুকছে৷ তারপর অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ছে৷
তবে এক্ষেত্রে গ্রিসের ভূমিকায় ইইউর অন্য দেশগুলো সন্তুষ্ট নয়৷ তাদের মতে, গ্রিসের উচিত তাদের সীমান্তে আরও কড়াকড়ি আরোপ করা যেন শরণার্থীরা তুরস্ক থেকে ইইউতে প্রবেশই করতে না পারে৷
সোমবার থেকে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে ইইউর স্বরাষ্ট্র ও বিচার মন্ত্রীদের যে দুদিনের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হয়েছে সেখানে গ্রিসকে শক্তহাতে তার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করতে চাপ দেয়া হবে৷
বৈঠক শুরুর আগে অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহানা মিকেল-লাইটনার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ইউরোপের বহির্সীমান্ত (তুরস্ক-গ্রিসের মধ্যে সমুদ্র সীমান্ত) রক্ষার মতো সামর্থ্য আছে গ্রিসের৷ ইউরোপের অন্যতম বড় নৌ-বাহিনী আছে তাদের৷''
সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে গ্রিসের উপর চাপ বাড়াতে দেশটিকে শেঙেন থেকে ‘সাময়িকভাবে বহিষ্কার' করা হতে পারে বলেও এর আগে মন্তব্য করেন লাইটনার৷
আমস্টারডামের বৈঠকে ইইউ-র বহির্সীমান্ত রক্ষায় কোস্টগার্ড মোতায়েন সহ অন্যান্য উপায় বের করার চেষ্টা করা হবে৷ ইইউ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক কদিন আগে সতর্ক করে বলেন, সমাধান বের করা না গেলে দুই মাসের মধ্যে শেঙেন ভেঙে পড়তে পারে৷
অস্ট্রিয়া সহ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে নিজেদের সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে৷ শেঙেন চুক্তি অনুযায়ী, কোনো সদস্যরাষ্ট্র চাইলে ৩০ দিন পর্যন্ত এমন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করতে পারে৷ আমস্টারডামের বৈঠকে এই দিনের সংখ্যা আরও বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)