1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্দেহের আবর্তে বাংলাদেশের মাহফুজার জয়

২ জুলাই ২০২০

২০১৯ সালের এপ্রিলে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন এএফসির কংগ্রেসে নারী কোটায় ফিফা কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশের মাহফুজা আক্তার কিরণ৷ তার সেই জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মালদ্বীপের মরিয়ম মোহামেদ৷

https://p.dw.com/p/3ehjB
২০১৯ সালে ফিফা কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশের মাহফুজা আক্তার কিরণ৷ সেই জয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷
ছবি: Bangladesh Football Federation/Adam Aidil

সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি৷ এই নিয়ে সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালতটিতে বুধবার শুনানি হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি৷

মরিয়ম মোহামেদের অভিযোগ, এএফসি নির্বাচনের নিজস্ব আইনই মানেনি, সেই সঙ্গে নারী সমতা আইনেরও বরখেলাপ করেছে৷ ১৫ মাস আগের ঐ নির্বাচনে এএফসি প্রেসিডেন্ট বাহরাইনের শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফাসহ সাত জন নির্বাচিত হন৷ মরিয়ম মোহামেদ সেখানে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী ছিলেন৷ কিন্তু জিতেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের মাহফুজা আক্তার কিরণ৷

এপি বলছে, মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ঐ নির্বাচনের পরপরই এএফসিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেন মরিয়ম৷ তার দাবি, অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়ার প্রেসিডেন্ট কুয়েতের শেখ আহমেদ আল-ফাহাদ আল-সাবাহ নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব খাটিয়েছিলেন এবং মাহফুজা আক্তার কিরণকে নির্বাচনে জেতাতে সহযোগিতা করেছেন৷ এমনকি কুয়েতের এই রাজনীতিবিদ মরিয়ম মোহামেদকে ডেকে নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেন, না হলে ফুটবলে তার কোনো ভবিষ্যত থাকবে না বলেও হুমকি দেন৷

এই বিষয়ে জানতে ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে মাহফুজার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি৷

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালেও মাহফুজা ফিফা কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় মাহফুজা আক্তার কিরণকে গ্রেপ্তার করেছিল বাংলাদেশের পুলিশ৷ সে বছরের ২ এপ্রিল তাকে চিকিৎসার জন্য জামিন দেয়া হয়৷

এফএস/এসিবি (এপি)