সম্প্রীতির কলকাতা
ধর্ম নয়, সকলের সব উৎসবে সামিল কলকাতার মানুষ।
ঈদের কলকাতা
ঈদের নামাজে মুসলিমরা এ ভাবেই রেড রোডে সমাবেত হন। নামাজের পর গোটা শহর জুড়ে খাওয়াদাওয়ার হিরিক লেগে যায়। সেখানে সামিল হন হিন্দু-মুসলিম সকলেই। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করেন হিন্দুরাও। বহু হিন্দু তাঁদের বাড়ির ছাদ খুলে দেন মুসলিমদের প্রার্থনার জন্য।
ঐতিহ্যের রক্ষক
শুধু কলকাতা নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গেই এমন অনেক মসজিদ এবং ইমামবারা আছে, যার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সামলান হিন্দুরা। আবার বহু হিন্দু মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ করেন মুসলিমরা। পাথরার ইয়াসিন পাঠান তেমনই এক মানুষ। প্রাচীন মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ করেন তিনি।
দুর্গা প্রতিমার নির্মাতা
এই কলকাতাতেই দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেন মুসলিম ভাস্কর। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ খুব আনন্দের সঙ্গে করেন। বিশ্বাসী এই ভাস্কর বিশ্বাস করেন প্রতিমা তৈরির সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই।
খ্রিস্টান মাস
এই কলকাতাই আবার মেতে ওঠে বড়দিনে। দিকে দিকে জ্বলে ওঠে আলো। পার্কস্ট্রিটে হয় কার্নিভাল। মিশনারিদের মাস মিছিলে যোগ দেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। মাঝ রাতে সেন্ট পলস, জোড়া গির্জার প্রার্থনায় যোগ দেন হিন্দু-মুসলিম সকলেই।
নকশি কাঁথা
নকশা করা যে কাঁথার উপর নামাজ পড়ছেন এই নারীরা, সেই কাঁথা তৈরি করেছেন প্রতিবেশী হিন্দুরা। উপহার দিয়েছেন ঈদে।
রামকৃষ্ণের মন্দির
কালীর উপাসক ছিলেন রামকৃষ্ণ। কিন্তু কোনও ধর্মকেই অবহেলা করেননি তিনি। ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মের প্রতিও তাঁর অগাধ টান ছিল। সে কারণেই এখনও রামকৃষ্ণ মিশনে যীশুর পুজো হয়। ইসলামকেও অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়।
দশমীর কোলাকুলি
ঈদের কোলাকুলিতে যেমন ধর্ম থাকে না, তেমনই সব ধর্ম এক হয়ে যায় শারদোৎসবে। বিজয়ার দিনে দুর্গা প্রতিমায় সিঁদুর লাগিয়ে সব ধর্মের মানুষ একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। এটাই আসলে কলকাতার ধর্ম।