1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দুর্নীতিরও তদন্ত করছে টিআইবি

২৫ ডিসেম্বর ২০১০

প্রথমবারের মত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি৷ টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ হলে তা সবার সামনে প্রকাশ করা হবে৷

https://p.dw.com/p/zpea
আইনমন্ত্রী টিআইবি’র প্রতিবেদনের সমালোচনা করেছেনছবি: Samir Kumar Dey

তিনি জানান, খানা জরিপে বিচার বিভাগ নিয়ে ভুক্তভোগীদের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে৷ এনিয়ে সমালোচনা থাকতে পারে তবে আইন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য দু:খজনক৷

জরিপে বিচার বিভাগের নাম সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে উঠে আসায় সরকারের মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সমালোচনার মুখে পড়েছে টিআইবি৷ আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম শুক্রবার বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতেই টিআইবি বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করছে৷জবাবে শনিবার টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছন, জরিপ নিয়ে সমালোচনাকে তারা স্বাগত জানান৷ কিন্তু আইন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য দু:খজনক৷ টিআইবি বরাবরই যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবি করে আসছে৷ আর টিআইবি কাজ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে৷

ড. ইফতেখারুজ্জামান জরিপ পদ্ধতির সমালোচনার জবাবে বলেন, তাদের পদ্ধতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত৷ দেশের ১৫ কোটি মানুষের সবার কাছে গিয়ে মতামত সংগ্রহ সম্ভব নয়৷ দৈব চয়নের ভিত্তিতে ৬৪ জেলা থেকে ভুক্তভোগী ৬ হাজার ব্যক্তিকে নির্ধারণ করে তাদের মতামত নেয়া হয়েছে৷ যারা বিচার পেতে ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন এই জরিপে তাদের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে৷

সেবাখাতের এই জরিপে দেশের সার্বিক দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ পায়নি বলে স্বীকার করেন তিনি৷ এজন্য সরকারের উচু পর্যায়ের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে টিআইবি৷ সরকারের নির্মাণ, ক্রয় এবং সংগ্রহ খাতে এই দুর্নীতি হয়ে থাকে৷

বিচার বিভাগের জরিপ ফলাফল নিয়ে কোন আদালত অবমাননার মামলা হলে তা আইনগতভাবেই মোকাবেলা করা হবে বলে জানান ড. ইফতেখারুজ্জামান৷

এদিকে শনিবারও টিআইবি'র রিপোর্টের সমালোচনা করেছেন আইনমন্ত্রী এবং সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: জাহিদুল হক