1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিউত্তর অ্যামেরিকা

সাংবাদিক হত্যার ষড়যন্ত্রে মার্কিন শাস্তির মুখে ইরানের সেনা

২৩ অক্টোবর ২০২৪

সব মিলিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে একজন ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল।

https://p.dw.com/p/4m76p
ইরানের সাংবাদিক
ইরানের এই সাংবাদিককেই হত্যার চেষ্টা হয়েছিলছবি: DW

একজন ইরানে বংশোদ্ভূত অ্যামেরিকার সাংবাদিককে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে অ্যামেরিকা। আগেই ইরানের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। এবার তিনজনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হলো।

অভিযুক্তদের দুইজনকে ২০২২ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে ২০২৩ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। মার্কিন আদালতে মঙ্গলবার এবিষয়ে একটি শুনানি হয়। আদালত কিছু তথ্য জানিয়েছে সেখানে। যদিও সেই তথ্যে কোথাও ওই সাংবাদিকের নাম নেই। তবে আগে আদালতের কিছু নথিতে ওই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল।

ওই সাংবাদিকের নাম মাসিহ আলিনেজাদ। বস্তুত, তার ব্রুকলিনের বাড়ির বাইরে থেকে অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার কাছ থেকে একটি রাইফেল পাওয়া গেছিল।

আলিনেজাদ পরিচিত সাংবাদিক। ইরান-বিরোধী অবস্থানের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ইরানের টার্গেট। ইরানে অ্যামেরিকা-বিরোধী আন্দোলনে বার বার তার ব্যাঙ্গ-ছবি দেখা গেছে।

এদিন অ্যামেরিকা ওই তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নতুন চার্জ আনার কথা জানানোর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন সাংবাদিক। লিখেছেন, 'অ্যামেরিকায় এফবিআই এবং ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কী কথা হয়েছে, বলতে পারবো না। তবে আলোচনা আশাপ্রদ হয়েছে।' এখানেই শেষ নয়, আয়োতোল্লাহ খামেনেইকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছেন, যতবার খামেনেই এবং ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড সমালোচনার মুখে পড়বে, ততবার তাকে জয় হিসেবে ধরে নেবেন তিনি। তার কথায়, '২১ বার সেফ হাউসে বদলাতে হয়েছে প্রাণের দায়ে। যতবার তা হয়েছে, তত শক্তিশালী হয়েছি।'

যে ব্রিগেডিয়ার জানেরেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একসময় রেভলিউশনারি গার্ডের ইনটেলিজেন্স প্রধান ছিলেন। বাকি দুই সহকর্মীকে নিয়ে সে সময় তিনি ওই সাংবাদিক-সহ একাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার এই তিনজনের বিরুদ্ধেই নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

অভিযোগ ওই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দুই ব্যক্তিকে পয়সার বিনিময়ে সাংবাদিককে হত্যার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। যাদের ওই সাংবাদিকের বাড়ির বাইরে থেকে আটক করা হয়েছিল। তবে দুইজনই মার্কিন আদালতে নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।

এসজি/জিএইচ (এপি, এএফপি, রয়টার্স)