সাকিবরা বিসিবি সভাপতির পদত্যাগ চেয়েছেন!
২৪ অক্টোবর ২০১৯অথচ নয়টি দাবি মেনে নিয়েছে বিসিবি৷ তাই ক্রিকেটারদের ধর্মঘট শেষ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভারত সফরও এখন শঙ্কামুক্ত৷
তবে শোয়েব আখতার ভিডিওটি প্রকাশ করেছেন বুধবার ক্রিকেটার আর বিসিবির মধ্যে বৈঠকটি হওয়ার আগে৷ নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা সেই ভিডিওতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রতি সমর্থন জানান এক সময়ের বিশ্বের দ্রুততম বোলার৷ কিন্তু বক্তব্যের শুরু থেকে প্রায় শেষ পর্যন্তই একটি ভুল তথ্য দিয়ে গেছেন ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস'৷ তার দাবি, বাংলাদেশে সোর্সের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন, ক্রিকেটারদের মূল দাবি বিসিবি সভাপতির পদত্যাগ৷ নাজমুল হাসান পাপনের ছবি দেখিয়ে এ কথা ঘুরিয়েফিরিয়ে কয়েকবার বলেছেন তিনি৷ তার সোর্স নাকি বলেছে, সাকিব, মুশফিক, তামিমরা এগারো দফা দাবির প্রথমটিতেই বলেছেন, বিসিবি প্রধানকে পদত্যাগ করতে হবে, নইলে ভারত সফরে যাবে না বাংলাদেশ দল৷
ক্রিকেটাররা আসলে কোয়াব-এর সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন৷ শোয়েব কি তবে কোয়াবকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ভাবলেন? তা ভেবেই নাজমুল হাসান পাপনের ছবি দেখিয়ে এত এত কথা?
উর্দু আর ইংরেজি মিলিয়ে দেয়া বক্তব্যে আরো অবাক হওয়ার মতো তথ্য দিয়েছেন শোয়েব৷ এক জায়গায় বলেছেন, ক্রিকেটাররা যাতে বদমাশি-টদমাশি না করতে পারে সে কারণে কঠোর আইনও করতে চেয়েছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন৷
শোয়েব আখতারের এই ভিডিও নিয়ে বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিকেও খবর প্রকাশিত হয়েছে৷ তবে খবরটির শিরোনাম দেয়া হয়েছে, ‘বিসিবি সভাপতির পদত্যাগ চাইলেন শোয়েব আখতার'৷ কিন্তু ভিডিওটি দেখলেই বোঝা যাবে শোয়েব নিজে বিসিবি সভাপতির পদত্যাগ চাননি৷ ক্রিকেটাররা এমন দাবি তুলেছেন জানিয়ে তিনি শুধু তা সমর্থন জানিয়েছেন৷
তার ভাষায়, ‘‘মুশফিকুর রহিম সে লে-কে, মুস্তাফিজুর সে লে-কে, সাকিব সে লে-কে ইন সারো নে অ্যাজএ লিডার উনুনে ইয়ে ডিসাইড কিয়া হ্যায়, কে জো আপ হামারা প্রেসিডেন্ট হ্যায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কা, হি হ্যাজ টু রিজাইন৷ হি নিডস টু রিজাইন৷'' গুছিয়ে বললে এর অর্থ দাঁড়ায়, ‘‘মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর, সাকিবের মতো ক্রিকেটাররা (ক্রিকেটারদের) নেতা হিসেবে বলেছে, ‘আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের যে সভাপতি আছে তাকে পদত্যাগ করতে হবে৷' তার পদত্যাগ করা দরকার৷''
খেলোয়াড়ি জীবনে অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন শোয়েব আখতার৷ দু্র্ব্যবহারের জন্য পাকিস্তান দল থেকে বাদ পড়েছেন, ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হয়ে এবং শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করে নিষিদ্ধও হয়েছেন একাধিকবার৷ এই ভিডিও-ও কি নতুন বিতর্কের জন্ম দেবে?
এসিবি/কেএম