আইএস দমন অভিযান
৩ ডিসেম্বর ২০১৫এবার ব্রিটিশ বোমারু বিমান সিরিয়ায় আইএস-এর উপর হামলা শুরু করলো৷ ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ওমর তৈলক্ষেত্রের উপর সফল হামলা চালানো হয়েছে৷ সংসদের অনুমোদনের পর দ্রুত এই অভিযান শুরু হয়েছে৷
তথাকথিত ইসলামিক স্টেট ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করার পর একাধিক ইউরোপীয় দেশ আইএস-এর বিরুদ্ধে কার্যত ‘যুদ্ধ' ঘোষণা করেছে৷ তাদের বক্তব্য, আইএস-এর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে তারা জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে, যেমনটা ফ্রান্সের ক্ষেত্রে দেখা গেছে৷ প্যারিসে হামলার পর ফ্রান্স আইএস-এর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান জোরদার করেছে৷ এবার ব্রিটেনও সেই পথে অগ্রসর হয়েছে৷
শুধু বিমান হামলার মাধ্যমে আইএস-দমনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে সমালোচনাও কম হচ্ছে না৷ ব্রিটেনের বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরিমি করবিন নিরীহ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷
ব্রিটিশ অভিনেতা ও কমেডিয়ান স্টিফেন ফ্রাই মধ্যপ্রাচ্যে অতীতের পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক অভিযানের পরিণাম নিয়ে তৈরি শ্লেষাত্মক এক তালিকা শেয়ার করেছেন৷
ফ্রান্স ও ব্রিটেনের পর জার্মানিও সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ তবে জার্মান বিমান সরাসরি হামলা চালাবে না৷ টরন্যাডো বিমান থেকে নজরদারি চালানো সহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত সহায়তা করতে চায় জার্মানি৷ শুক্রবার জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগ এই অভিযান অনুমোদন করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার সরকারের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷
সংসদে আসন সংখ্যার জোরে জার্মানির ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকার এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করাতে পারবে – এমনটাই ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ তবে বিরোধী বামপন্থি ও সবুজ দল এই প্রশ্নে সরকারের তড়িঘড়ি মনোভাবের সমালোচনা করছে৷ তাদের মতে, অনেক ভেবেচিন্তে জার্মানির ভূমিকা স্থির করা উচিত৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ