সুদানে লড়াই চলছে, খার্তুম থেকে মানুষ পালাচ্ছে
২০ এপ্রিল ২০২৩সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে আরেকটি অস্ত্রবিরতির চেষ্টা হয়েছিল। বিদেশি রাষ্ট্রগুলি বলেছিল, তাদের নাগরিকদের সুদানের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা অস্ত্রবিরতি দরকার।
সেই অস্ত্রবিরতি বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খার্তুমের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারপরেও তারা সমানে গোলা-গুলির শব্দ পেয়েছেন। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও সেনার সদরদফতরের কাছ থেকে সমানে গোলার আওয়াজ এসেছে।
জাতিসংঘের মতে, এখনো পর্যন্ত ২৭০ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন দুই হাজার ৬০০ জন। তবে প্রকৃত সংখ্যাটা এর থেকেও অনেক বেশি হতে পারে। সমানে বোমা পড়ছে বলে আহতদের রাস্তা থেকে নিয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে না।
সুদানের বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও বিমানের শব্দ সারাদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে।
আধাসামরিক বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানদের গাড়িতে করে খার্তুমের রাস্তায় ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। বন্দুকধারীরা লুটতরাজও চালাচ্ছে বলে খবর এসেছে।
খার্তুমে সেনা সদরদফতরের আশপাশ থেকে সমানে বোমার আওয়াজ এসেছে। গত সপ্তাহে সেনাপ্রধান বুরহান জানিয়েছিলেন, তিনি সেখানেই আছেন। তিনি এখনো সেখানে আছেন কি না, তা জানা যাচ্ছে না। সেনাও তারপর আধাসামরিক বাহিনীর সদরদপ্তর লক্ষ্য করে সমানে আক্রমণ শানিয়েছে।
রয়টার্স জানাচ্ছে, পশ্চিম খার্তুমে আধাসামরিক বাহিনীর নেতা দাগালোর বাড়ির কাছেও প্রবল লড়াই চলছে। তবে দাগালো কোথায় আছেন, তা জানা যায়নি।
এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে, মানুষ খার্তুম ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। খার্তুমের একটা বড় এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। খাবার জলও নেই। তার উপর শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে মানুষ পালাচ্ছে।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)