1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ব্যবসা-বাণিজ্য

সোনালি আঁশের দিন ফিরবে কি? 

১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

এক সময় দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল পাট৷ রপ্তানি আয়ের শীর্ষ খাতও ছিল পাট৷ সেই দিন আর নেই৷ কিন্তু বিশ্বব্যাপী ‘সবুজ পণ্য ব্যবহারের যে প্রবণতা বাড়ছে তাতে পাটের সেই সোনালি দিন ফেরার আশা জেগেছে৷

https://p.dw.com/p/34vDO
Bangladesch Faridpur Juteproduction
ছবি: DW/Muhammad Mostafigur Rahman

চাঁদপুরের হাজিগঞ্জের মিরপুর গ্রাম৷ এই গ্রামেরই একজন গৃহবধু ফাতেমা বেগম৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে গর্ব করে বলেন, ‘‘আমার সেলাই করা পাটের জুতা বিদেশে যায়৷'' কোন দেশে যায় তা নির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও ইউরোপে যায় তা তিনি জানেন৷ আর তাঁদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়৷ কারণ, একেক সময় একেক ধরনের জুতা তৈরি করতে হয়৷ নানা ধরনের ডিজাইন৷  তাঁদের কাজ দেখতে বিদেশ থেকেও লোক আসেন৷

শুধু মিরপুর গ্রাম নয় আশপাশের আরো অনেক গ্রামে এখন নারীরা পাটের জুতার কাজ করে সংসারে বাড়তি আয় যোগ করছেন৷ আর ওই গ্রামগুলো এখন পরিচিতি পেয়েছে জুতার গ্রাম হিসেবে৷ ফাতেমা জানান, ‘‘আমাদের কাজ মূলত সেলাই করা৷ আর এজন্য কোম্পানিই সুতা, বিশেষ ধরনের সুই সরবরাহ করে৷ একেক বার একেক ধরনের জুতা তৈরি হয়৷ সেই জুতা সেলাই করার জন্য আমাদের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়৷''

গ্রামগুলোর প্রায় এক হাজার নারী এই কাজে নিয়েজিত আছেন ছয় বছর ধরে৷  জুতার চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজও বাড়ছে৷ ঢাকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের এজেন্টের মাধ্যমে ওইসব গ্রামে জুতা তৈরির কাজ করান৷

শাহানারা বেগম নামে আরেকজন জানান, ‘‘একটি জুতায় নকশি সেলাইয়ের কাজ করে আমরা পাই পাঁচ টাকা৷ ঘরের কাজের ফাঁকে আমরা প্রতিদিন ২৫ জোড়া জুতায় সেলাইয়ের কাজ করতে পারি৷ এলাকার নারীরা এই কাজের মাধ্যমে স্বচ্ছল হচ্ছেন৷''

তিনি আরো জানান, ‘‘এইসব জুতা প্রধানত নারীদের৷ তবে পুরুষদের জন্যও জুতা তৈরি হয়৷ কোম্পানির লোকজন আমাদের কাজ দেখাশোনা করে৷ জুতা সেলাইয়ের পর তা ঢাকা পঠানো হয়৷ সেখান থেকে বিদেশে পাঠানো হয়৷''

তিনি বলেন, ‘‘জুতার ছইয়ের কাজও আমাদের মাঝে মাঝে করতে হয়৷ পাটের ওপর ঘাস দিয়ে বিশেষভাবে ওই ছই তৈরি হয়৷ প্রতিটি ছইয়ের কাজের জন্য আমরা পাই ৭০ টাকা৷''

‘আমার সেলাই করা পাটের জুতা বিদেশে যায়’

ঢাকার সোনালি আঁশ গ্রুপসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠান এখন এই পাটের জুতা তৈরি করে৷ আর এই জুতা ফ্রান্সসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয়৷ আর এই জুতার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে৷

পাট দিয়ে এখন আরো নানা ধরনের পণ্য তৈরি হচ্ছে৷ প্রচলিত পাটের বস্তা বা ব্যাগ ছাড়াও তৈরি হচ্ছে শো-পিস, শপিং ব্যাগ, হ্যান্ড ব্যাগ, পর্দা, টেবিল ম্যাট, ফ্লোর ম্যাট, মেয়েদের গহনা, স্যান্ডেল, বেড কভার, কুশন কভার, সোফা কভার, পর্দা, টেবিল ম্যাট, কার্পেট, ডোরম্যাট, শতরঞ্জি, ফতুয়া, কটি প্রভৃতি৷ পাট দিয়ে বিকল্প পলিব্যাগ তৈরির একটি প্রকল্পও শুরু হয়েছে৷ ডেনিম জিন্স তৈরির জন্যও সরকার প্রকল্প দিয়েছে৷ আছে পাট পাতার হার্বাল চা, যা রপ্তানি হচ্ছে জার্মানিতে৷ পাট দিয়ে বিকল্প পলিব্যাগ তৈরির প্রকল্পেও আছে জার্মান কারিগরি সহায়তা৷

পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে তৃতীয়৷ প্রথম অবস্থানে ভারত, তার পরে রয়েছে চীন৷ কিন্তু শুধু কাঁচা পাট রপ্তানিকে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম অবস্থানে৷ মোট রপ্তানির ৪০ ভাগই কাঁচা পাট৷ বাংলাদেশের কাঁচা পাট বেশ উন্নতমানের৷  কিন্তু এখন কাঁচাপাটের তেমন দাম নেই৷ মূল্য সংযোজন করতে না পারলে রপ্তানি আয় বাড়ানো সম্ভব নয়৷ বাংলাদেশে নতুন ধরনের নানা পাটজাত পণ্য তৈরি শুরু হলেও বিশ্ব বাজারে ব্র্যান্ডিং এখনো দুর্বল৷ আর সেই ব্র্যান্ডিংয়ে এগিয়ে আছে ভারত ও চীন৷ তারা বাংলাদেশ থেকেই কাঁচাপাট নিয়ে তা দিয়ে নানা পণ্য তৈরি করে বিশ্বে অবস্থান নিশ্চিত করেছে৷

বহুমুখি পাট পণ্য উৎপাদন করে আলোচিত শিল্প উদ্যোক্তাদের একজন রাশেদুল করিম মুন্না৷  তিনি ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুন্না পাটের বহুমূখি পন্য উৎপাদনের জন্য জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘প্রতি টন কাঁচা পাট রপ্তানি করলে আমরা পাই সর্বোচ্চ ৬২৫ ডলার৷ আমরা ইয়ার্ন রপ্তানি করলে প্রতি টনে পাই এক হাজার থেকে ১২শ' ডলার৷ যদি ট্র্যাডিশনাল চটের বস্তা রপ্তানি করি, তাহলে পাই প্রতি টনে ১৮শ' ডলার৷ কিন্তু ভ্যালু অ্যাডেড প্রডাক্ট থেকে প্রতি টনে পাওয়া যায় তিন থেকে ১০ হাজার ডলার৷ আরো হাইটেক প্রোডাক্ট তৈরি করলে তার দাম আরো অনেক বেশি৷''

তিনি বলেন, ‘‘বিএমডাব্লিউ গাড়ির বডির ভিতরের অংশ তৈরিতে জুট ব্যবহার করা হয়৷ একে বলা হয় জুট কম্পোজিট প্রোডাক্ট৷ আমাদের পাট দিয়েই তা তৈরি হয়৷ কিন্তু আমরা তা তৈরি করতে পারি না৷ আমাদের পাট নিয়ে অন্যরা তৈরি করে৷ আমরা হয়ত এখন এত হাইটেক জুট প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারব না৷ তবে বিশ্বব্যাপী গ্রিন প্রোডাক্টের যে একটি বড় বাজার তৈরি হচ্ছে, সেটি আমাদের ধরা দরকার৷ এর জন্য প্রয়োজন সরকারের সহায়তা৷ কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো, পাট এখনো বাংলাদেশে কৃষিপণ্য হিসেবে স্বীকৃত নয়৷ সেটা হলে অনেক সুবিধা পাওয়া যেতো৷''

‘গ্রিন প্রোডাক্টের বাজার ধরতে হবে’

পাটের বিকল্প পণ্য উৎপাদনকারীরা জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৯ সাল থেকে তাদের বর্তমানে ব্যবহৃত প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ শতকরা ৮০ ভাগ কমিয়ে ফেলার আইন করেছে৷ সেখানে পরিবেশবান্ধব বা গ্রিন শপিংব্যাগের প্রয়োজন হবে ৪৮ বিলিয়ন পিস৷ অষ্ট্রেলিয়াসহ আরো ১৫টি দেশ প্লাস্টিক  শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করেছে৷ সেখানে গ্রিন ব্যাগের চাহিদা হচ্ছে ৯০০ মিলিয়ন পিস৷ এটা বাংলাদের পাটের জন্য একটি বড় সুযোগ৷ কিন্তু এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে ভারত৷ বাংলাদেশের পাটকলগুলো স্বাধীনতার পর তৈরি করা হয়েছিল চট বা ছালা তৈরির জন্য৷ সেই সময়ে হয়তো সেটা ঠিক ছিল৷ কিন্ত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাটের বহুমুখি পণ্য উৎপাদন এবং তার বাজার ধরার চেষ্টা করা হয়নি৷ এখনো সময় আছে পাট শিল্পকে সেদিকে নেয়ার৷ পাটের জেনম আবিস্কারের পর অনেক হইচই হলেও সেটা নিয়ে এখনো তেমন কোনো কাজের ফল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না৷ বাংলাদেশে পাটের একর প্রতি উৎপাদন কম এবং ভারতীয় বীজের ওপর নির্ভরশীলতা কৃষককে পাট চাষে নিরুৎসাহিত করছে৷

ব্যবসায়ীরা জানান, সারাবিশ্বে এখন পাটের শপিং ব্যাগের চাহিদা ৫০০ বিলিয়ন পিস৷ এর শতকরা ২-৩ ভাগও যদি বাংলাদেশ সরবরাহ করতে পারে সেটা অনেক৷ তাঁরা মনে করেন এটা সম্ভব৷

বাংলাদেশে পাটবস্ত্র তৈরি হচ্ছে৷ কিন্তু এর সমস্যা হচ্ছে ধোয়া যায় না৷ পাটের সুতারও আরো উন্নয় প্রয়োজন৷ ফলে ব্যাগ ও গার্ডেনিংয়ের প্রোডাক্টের বাইরে আর কোনো ভ্যালু অ্যাডেড প্রোডাক্ট রপ্তানি হয় না৷ বিশ্বে গার্ডেনিং ব্যাগের প্রচুর চাহিদা আছে৷ কারণ, বাগান করতে এই ব্যাগের প্রচুর ব্যবহার রয়েছে৷ এর ইনডোর এবং আউটডোর দুই ধরনের প্রোডাক্ট আছে৷ ভারত পাটের গার্ডেনিং প্রোডাক্টের বাজারে আছে ৩০ বছর ধরে৷ তবে বাংলাদেশ ঢুকেছে গত ৬-৭ বছর ধরে৷ বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে এখন কম করে হলেও ২০০ উদ্যোক্তা আছেন, যাঁরা পাটের নতুন পণ্য তৈরি, রপ্তানিতে কাজ করছেন৷ তাঁরা সাফল্যও পাচ্ছেন৷

এই অঞ্চলে পাটের ইতিহাস অনেক পুরনো৷ জর্জ অকল্যান্ড ১৮৮৫ সালে শ্যামসুন্দর সেন নামে একজন বাঙালি অংশীদার নিয়ে কলকাতার হুগলি নদীর তীরে রিশড়া নামক স্থানে প্রথম পাটকল স্থাপন করেন৷ পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশে ( সে সময়ে পূর্ব পাকিস্তান)  পাটজাত দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদন ছিল একক বৃহত্তম শিল্প৷ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর জাতীয় জিডিপি এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এই শিল্পের অবদান হ্রাস পেতে থাকে৷ কিন্তু তারপরও এই শিল্প দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে৷

‘উন্নত জাতের একটি পাট আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে আছি’

১৯৭২ সালের মার্চ মাসে সরকার দেশের বিভিন্ন খাতের সব শিল্প-কারখানা জাতীয়করণ করে৷ মিলগুলির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হয় বিভিন্ন কর্পোরেশন বা সংস্থাকে৷  আর বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন (বিজেএমসি)-কে পাটকলগুলির পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়৷ পাটকলগুলো ধীরে ধীরে লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়৷ ১৯৭৫-৭৬ সাল থেকে ১৯৭৮-৭৯ সাল পর্যন্ত বিজেএমসির আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০ কোটি ১৯ লাখ টাকা৷ ক্রমাগত লোকসানের কারণে প্রতিষ্ঠার ৫২ বছর পর ২০০২ সালের ৩০ জুন বন্ধ করে দেয়া হয় বাংলাদেশে এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল আদমজী জুট মিল৷

বাংলাদেশে এখন বিজেএমসি'র অধীনে ২৭টি জুট মিল আছে৷ এরমধ্যে বেশ কয়েকটি পাটকল আছে, যেগুলো পাটের নতুন পণ্য উৎপাদন করে৷

বাংলাদেশে পাটের সোনালি দিন ফিরে না এলেও কৃষক এখানো পাট চাষে আগ্রহ হারায়নি৷ বরং গত কয়েক বছরে পাট চাষ বেড়েছে৷ বিবিএস-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে ৮ দশমিক ১৭ লাখ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়৷ মোট পাট উৎপাদন হয় ১৬ দশমিক ৬৭ লাখ টন৷ ২০১৪ সালে  পাট চাষ হয় ৬ দশমিক ৬৬ লাখ হেক্টর জমিতে৷ আর উৎপাদন হয় ১৩ দশমিক ৪৯ লাখ টন পাট৷ তবে পাটের বীজ এবং চাষে আধুনিক পদ্ধতি না আসায় ধান উৎপাদনের তুলনায় পিছিয়ে আছে৷ তাই তাদের আগ্রহ ধরে রাখতে একর প্রতি উৎপাদন বাড়াতে হবে৷ পাটের বহুমুখি পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষককে বাড়তি দাম দিতে হবে৷

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. মনজুরুল আলম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পাটের ট্র্যাডিশনাল পণ্য দিয়ে এখন আর বাজার ধরা যাবে না৷ তাই বাংলাদেশও বহুমূখি  পাটপণ্য উৎপাদন শুরু করেছে৷ আরো গবেষণা এবং কাজ চলছে৷ তবে সবচেয়ে বড় সুখবর হলো, পাট গবেষণা ইন্সটিউিট উন্নত জাতের একটি পাট আবিস্কারের দ্বারপ্রান্তে আছে৷ আর সেটি হলে পাটের উৎপাদন বেড়ে যাবে, উৎপাদনের সময়কাল কমে যাবে আর পাটের মান হবে আরো উন্নত৷ এর ফলে পাটের ক্ষেত্রে নতুন আরেক যুগের সূচনা হবে৷ পাটের জেনম রহস্য আবিস্কারের ফলে এটি সম্ভব হচ্ছে৷ আর জীবন-রহস্য আবিস্কারের ফলে পাট নিয়ে এখন অনেক কাজ হচ্ছে৷ পাটকে এখন ইচ্ছে অনুযায়ী ব্যবহার করা যাবে৷ এগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ হবে৷''

তিনি বলেন, ‘‘সত্তুরের দশকে কৃত্রিম তন্তু এবং পলিথিনের আবিস্কার সোনালি আঁশ পাটের দুর্দিন ডেকে আনে৷ কিন্তু এখন আবার পরিবেশ সচেনতার কারণে বায়োডিগ্রেডেবল আঁশের গুরুত্ব বাড়ছে৷ আর সেটা হলো পাট৷ পাটের সুদিন এখন আবার ফিরে আসছে৷ আর সে যাত্রায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে চায় না৷''তিনি জানান, ‘‘আগে রাস্তাঘাট এবং বাঁধের জন্য সিন্থেটিক জিও টেক্সটাইল ব্যবহার হতো৷ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট এরইমধ্যে এই কাজে পাটের জিও টেক্সটাইল তৈরিতে সক্ষম হয়েছে এবং ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে৷ কটনের আঁশের সঙ্গে পাটের আঁশ মিক্স করে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিক তৈরি করছি৷ পাট থেকে ফায়ার গার্ডের ক্লথ, বিভিন্ন ধরনের কম্পোজিট করার টেকনোলজি তৈরি হচ্ছে৷ উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা পাট দিয়ে কাঠের বিকল্প তৈরির কাজ করছি৷ ওষুধের বিয়ারিং ম্যাটেরিয়াল (ক্যাপসুলের শেল) তৈরি করেছি৷ নানা ধরনের টেক্সটাইল হচ্ছে৷ এরকম আরো অনেক কাজ হচ্ছে৷ এগুলোর কোনোটি বাণিজ্যিক পর্যায়ে গেছে, কোনোটি যাওয়ার অপেক্ষায়৷''

পাট কী আবারো ফিরবে স্বরূপে? লিখুন নীচের ঘরে৷ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য