স্মার্টফোন দিয়ে তোলা পুরস্কার জয়ী ছবি
স্মার্টফোন দিয়ে যে কোনো সময়, যে কোনো মুহূর্তে ছবি তোলা সম্ভব৷ সেরা আইফোন ফটোগ্রাফির জন্য আইফোন ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ডস বা ‘ইপঅ্যাওয়ার্ডস’ দেওয়া হচ্ছে ২০০৮ সাল থেকে৷ দেখুন গত দশ বছরের কিছু সেরা ছবি৷
প্রথম পদক্ষেপ
রন লেমাইস ২০০৮ সালের প্রথম ইপঅ্যাওয়ার্ডস বিজয়ীদের একজন৷ নিউ জার্সির এই অপেশাদার আলোকচিত্রশিল্পী স্মার্টফোন ফটোগ্রাফিকে একটি ‘স্বাভাবিক বিকাশ’ বলে মনে করেন৷ যদিও তাঁর পেশাদারি সরঞ্জাম আছে, তবুও তিনি শুধু তাঁর সেলফোন ব্যবহার করেন৷ ‘‘আমার অন্য ক্যামেরাগুলো সেযাবৎ পড়ে আছে,’’ নিজের ওয়েবসাইটে লিখেছেন রন৷
আকাশছোঁয়া বাড়ি ও একটি বল
ক্রিস্টোফার পেকোরারো আইফোন দিয়ে তাঁর নিজের শহর নিউ ইয়র্কের ছবি তুলছেন ২০০৯ সালে থেকে৷ স্কাইস্ক্র্যাপারের দেশে একটি ছোট্ট বলের ছবিটি ২০০৯ সালে একটি ইপ্অ্যাওয়ার্ড পায়৷
যে শহর কখনো ঘুমায় না
স্পেনের মানুষ সিওন ফুলানা নিউ ইয়র্কের শশব্যস্ত জীবনের এই ছবিটি তোলেন ২০১০ সালে৷ সে বছরই ছবিটি ইপ্অ্যাওয়ার্ড পায়৷ আইফোন দিয়ে তোলা তাঁর একটি ছবি এমনকি অ্যাটলান্টার ‘মিউজিয়াম অফ হাই আর্ট-’এ রাখা আছে৷
জলে ঝাঁপ!
ছবিতে তিনটি বাচ্চা মেয়ে জেটি থেকে জলে ঝাঁপ দিচ্ছে৷ ২০১১ সালে এমিলি রোজ একাধিক ইপ্অ্যাওয়ার্ডস পান৷ মুক্ত প্রকৃতিতে ক্রীড়ারত শিশুরা হলো তাঁর অধিকাংশ ছবির উপজীব্য৷ দেখলে মনে হবে যেন পিকনিকের মধ্যে হঠাৎ খেয়ালে তোলা ছবি৷
‘স্টিল লাইফ’
ছবিটির জন্য ২০১২ সালে ইপ্অ্যাওয়ার্ড জেতেন এড্রিয়া এলিস৷ প্যারিস ও সান্টা বারবারা-তে ফটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশুনা করেন; ২০১১ সাল থেকে বলতে গেলে শুধু সেল ফোন ব্যবহার করেই ছবি তুলছেন৷ নিজের ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ‘‘আইফোনের প্রচলন আমার সৃজনশীলতার অভিব্যক্তিকে বদলে দিয়েছে৷’’
এক পলক
ছবিটি দেখলে স্টিভ ম্যাককারি’র তোলা সেই উদ্বাস্তু আফগান কিশোরীর ছবিটির কথা মনে পড়ে, যা ১৯৮৫ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ অলঙ্কৃত করেছিল৷ এখানে দেখা যাচ্ছে নেদারল্যান্ডসের কিম হান্সকাম্প-এর তোলা ছবি৷ ২০১৩ সালে ‘মানুষ’ বিভাগে ইপঅ্যাওয়ার্ড জেতে এই ছবিটি৷
শেয়াল পণ্ডিত
শেয়াল পণ্ডিতকে কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য আর ক’জনের হয় - মাইকেল ও’নিলের যা হয়েছিল৷ আইফোন দিয়ে তোলা তাঁর এই ছবিটি ২০১৪ সালে ‘জীবজন্তু’ বিভাগে ইপঅ্যাওয়ার্ড জয় করে৷ তাঁর স্মার্টফোন ছবিগুলির অনেক অনুরাগী, ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ছয় লাখ পঁচাশি হাজার৷
মায়াবি
ছবিটি তুলেছেন হামবুর্গের মার্টিন ড্রায়ার, পেশায় এরিয়াল ইঞ্জিনিয়ার৷ দেশ দেশে ঘুরে বেড়ানোর সময় অধিকাংশ ছবি তোলেন, যেমন এই ছবিটি, যা তাঁকে ‘প্রাকৃতিক দৃশ্য’ বিভাগে ২০১৫ সালের ইপঅ্যাওয়ার্ড এনে দেয়৷
বন্ধুত্ব
খালখা উপজাতির মানুষরা দক্ষিণ চীনের সিনজিয়াং প্রদেশে বাস করেন৷ বহু বছর ধরে প্রশিক্ষন দিয়ে বাজপাখিদের শিকার ধরতে শেখান খালখা-রা৷ বহুদিন একত্রে থাকার ফলে মানুষ আর বাজপাখির মধ্যে এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷ চীনা ফটোগ্রাফার সিউয়ান নিউ এই ছবিটির জন্য ২০১৬ সালের গ্র্যান্ড প্রাইজ ও ‘ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ার’ খেতাব পেয়েছেন৷