হলিউডে যেভাবে জলবায়ু পরিবর্তন উপস্থাপিত হয়েছে
চলচ্চিত্রে ক্লাই-ফাই বা ক্লাইমেট ফিকশন দিন দিন জনপ্রিয়তা লাভ করছে৷ বেশিরভাগ চলচ্চিত্রেই দেখানো হয় ভবিষ্যতের পৃথিবীতে কী ঘটতে চলেছে এবং নায়ক কীভাবে সেই সংকট থেকে বিশ্বকে রক্ষা করছে৷
বিস্টস অফ দ্য সাউদার্ন ওয়াইল্ড
জলবায়ু পরিবর্তন এই চলচ্চিত্রে সামান্য তবে জোরালো ভূমিকা পালন করেছে৷ কবিতা আর রাজনীতির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনকে উপস্থাপনের কারণে প্রশংসা কুড়িয়েছে সিনেমাটি৷ ঘূর্ণিঝড় ক্যাটরিনা আঘাত হানার পর ৬ বছরের হাসপাপি’র জীবনে কি ঘটে সেটাই চলচ্চিত্রের পটভূমি৷
ওয়াটারওয়ার্ল্ড
এই চলচ্চিত্রে ভবিষ্যতের পৃথিবী দেখানো হয়েছে, যেখানে মেরু অঞ্চলের বরফ পুরোপুরি গলে গিয়ে প্রত্যেকটি মহাদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে৷ যারা এই বিপর্যয় থেকে বেঁচে গেছে তারা সমুদ্রের মধ্যে স্থল বা শুষ্ক ভূমির খোঁজ করছে৷ শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্রের নায়ক বেঁচে যাওয়া মানুষদের নিয়ে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছে যায়, যেখানে তারা প্রচুর গাছপালা ও প্রাণী দেখতে পায়৷
জিওস্টর্ম
জেরার্ড বাটলার অভিনীত ক্লাই-ফাই মুভি জিওস্টর্ম এর প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি৷ আগামী ২০শে অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের থিয়েটারে মুক্তি পাবে এটি৷ তিনি একজন নভোচারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যে পৃথিবীকে একটি ঝড়ের হাত থেকে রক্ষা করে৷
ডাউনসাইজিং
সব ক্লাই-ফাই চলচ্চিত্র অবশ্য ভবিষ্যতের পৃথিবীর ঘটনা নয়৷ চলতি বছরের ডিসেম্বরে ‘ডাউনসাইজিং’ নামে একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে যাচ্ছে, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে৷ কমেডি-ড্রামা ধাঁচের এই চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন ম্যাট ডেমন এবং ক্রিস্টোফ ভালৎস৷
অ্যান ইনকনভিনিয়েন্ট ট্রুথ
২০০৬ সালে আল গোরের অস্কার জয়ী তথ্যচিত্র অ্যান ইনকনভিনিয়েন্ট ট্রুথ-এ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কী কী ঘটতে পারে সে সম্পর্কে একটা পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল৷ নতুন তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে ২০০৬ এর পর আসলেই পৃথিবীতে কী কী প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে৷
দ্য ডে আফটার টুমরো
২০০৪ সালে রোনাল্ড এমেরিশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটিকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্রথম সফল চলচ্চিত্র হিসেবে মনে করা হয়৷ ছবিতে দেখানো হয় উত্তর আটলান্টিক সাগরে ঘূর্ণির কারণে নিউ ইয়র্ক সিটি বরফে ঢেকে যায় এবং একটি নতুন বরফ যুগের সূচনা হয়৷
২০১২
‘দ্য ডে আফটার টুমরো’র পরিচালক রোনাল্ড এমেরিশ ২০০৮ সালে আবারও প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন৷ এই চলচ্চিত্রের কাহিনিতে দেখানো হয়েছে ২০১২ সালে জ্যাকসন কার্টিস নামের এক ঔপন্যাসিক বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে কীভাবে পরিবারকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়৷
বিফোর দ্য ফ্লাড
ন্যাশনাল জিওগ্রাফির এই তথ্যচিত্রে অংশ নিয়েছিলেন হলিউডের জনপ্রিয় তারকা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও৷ তার মাধ্যমে জনগণের কাছে এই বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যে কী পদক্ষেপ নিলে এবং মানুষের কোন অভ্যাসগুলো বদলালে জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করা যেতে পারে৷ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব জানতে বিশ্বব্যাপী ঘুরে বেরিয়েছেন এই অভিনেতা ও জলবায়ু কর্মী৷