হলিউডের নজরে ‘হোয়াইট হাউস’
এই ছবিগুলি অ্যামেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও ‘হোয়াইট হাউস’-কে নতুনভাবে চেনায়, দেখুন এই ছবিঘরে...
টানাপোড়েনে ‘দ্য ফ্রন্ট রানার’
জেসন রাইটম্যান পরিচালিত ছবি ‘দ্য ফ্রন্ট রানার‘ ২০১৮ সালে মুক্তি পায়৷ ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী গ্যারি হার্টের চরিত্রে অভিনয় করেন হিউ জ্যাকম্যান৷ উল্লেখ্য, গ্যারি হার্ট ছিলেন প্রথম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, যার যৌন কেলেঙ্কারির কেচ্ছা উঠে আসে শিরোনামে৷ এই ছবিটি তুলে ধরেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার বিভিন্ন দিক৷
হিউ-এর ক্যারিশমা
১৯৮৮ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কলোরাডোর ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ছিলেন নির্বাচনের ‘হট ফেভারিট’৷ কিন্তু সব হিসেব পাল্টে দেয় এক নারীর সাথে তাঁর নৌকাবিহারের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি৷ ব্যক্তিত্বশালী এই রাজনীতিকের নানা কেচ্ছা বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কীর্তিকলাপের সামনে নেহাতই তুচ্ছ, এমনও মনে করেন অনেকে৷
হার্ট, না ক্লিন্টন, নাকি ট্রাম্প?
কার কেচ্ছার ফল ছিল সুদূরপ্রসারী? গ্যারি হার্ট? হয়তো না৷ রাজনীতিকের যৌন কেচ্ছা বিষয়ে অনেকেই তুলবেন নব্বইয়ের দশকে আলোড়ন তোলা মনিকা লিউইনস্কি ও তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের কথা, যে কারণে পদত্যাগ করতে হয় ক্লিন্টনকে৷ সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ের প্রতিবেদন হার্ট ও ক্লিন্টন, দুজনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্যই মারাত্মক ফল বয়ে আনে৷ কিন্তু ট্রাম্পের একাধিক কেলেঙ্কারির ঘটনা খবরে এলেও তাঁর আসন টলাতে পারেনি৷
পর্দায় ট্রাম্প: ‘ফারেনহাইট ১১/৯’
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সব অনুমান মিথ্যা প্রমাণ করে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনকে হারিয়ে দেন রিপাব্লিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এই নির্বাচনে ট্রাম্পবিরোধী মানুষ কীভাবে সংগঠিত হয়েছিলেন, কেমন ভূমিকা ছিল সংবাদমাধ্যমের, এসব রয়েছে ২০১৬ সালে মাইকেল মুর পরিচালিত ‘ফারেনহাইট ১১/৯’ নামের এই তথ্যচিত্রে৷
ওয়াশিংটনের বাইরের কুকীর্তি
এই তথ্যচিত্রকে সম্পূর্ণতা দিতে পরিচালক মুর মার্কিন রাজধানী ওয়াশিংটনের বাইরের রাজ্যগুলির চিত্রও এখানে তুলে ধরেছেন৷ পরিচালক মুর মিশিগানের সাংসদ রিক স্নাইডারকে সরাসরি ‘ফ্লিন্ট ওয়াটার’ কেলেঙ্কারিতে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেন এই তথ্যচিত্রে৷ ওপরের ছবিতে রয়েছে সেই অংশের একটি দৃশ্যের ছবি৷
ট্রাম্পবিরোধীরা কোথায়?
মাইকেল মুরের এই ছবিতে রয়েছে একঝাঁক হলিউড তারকার জবানবন্দী, যারা সবাই রাজনৈতিকভাবে ট্রাম্পের বিরোধী৷ এছাড়াও ছবিটিতে বলা হয়েছে, ডেমোক্র্যাট দলের নির্বাচনি কৌশলের দুর্বলতার বিষয়ে নানা তথ্য৷বর্তমান অ্যামেরিকায় একাধিক তৃণমূল স্তরের আন্দোলন গড়ে উঠছে৷ এই ছবিতে তাদের প্রতিনিধিদের ট্রাম্প সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবার সুযোগ করে দিয়েছেন মাইকেল মুর৷
ভাইস প্রেসিডেন্টের গুরুত্ব...
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের ‘ডানহাত’ বলে পরিচিত তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি৷ চেনি’র জীবন নিয়ে তৈরি ‘ভাইস’ ছবিটিতে ডিক চেনির ভূমিকায় দেখা যায় গোল্ডেন গ্লোবজয়ী অভিনেতা ক্রিশ্চিয়ান বেল-কে৷ এই ছবি শুধু বুশের আমলের অ্যামেরিকাকে তুলে ধরে না, বরং বর্তমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক টানাপোড়েনেরও সমালোচনা করে৷
লোকচক্ষুর আড়াল থেকে...
পরিচালক ম্যাককে’র মতে, হোয়াইট হাউস তখন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের কথায় কম, আর ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির আদেশে চলতো বেশি৷ ‘ভাইস’ ছবিতে রয়েছে বুশ-জমানার গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা ও তার পেছনে চেনির অবদানের অনেক অজানা তথ্য৷
আসল ‘পাওয়ার কাপল’
অনেকেই মনে করেন, মার্কিন রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা রাখেন প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রী বা ফার্স্ট লেডি৷ ‘ভাইস’ ছবি এই বিশ্বাস ভাঙতে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরে ডিক চেনি ও তাঁর স্ত্রী লিন-এর কাহিনি, যাদের প্রভাবে গোটা ওয়াশিংটনের রাজনীতি এক সময় নির্ধারিত হতো৷ বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স-কে ডিক চেনির সঙ্গে তুলনা করেন অনেকে৷