হাইতিতে গ্যাং-ওয়ার ছড়াচ্ছে, বাড়ছে সহিংসতা
২১ মার্চ ২০২৪গত ফেব্রুয়ারি থেকে হাইতিতে অপরাধী গোষ্ঠীগুলির তাণ্ডব চলছে। তারা জেল ভেঙে কয়েক হাজার অপরাধীকে মুক্তি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী হেনরি পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়টি ঠিক হলেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্তফা দেবেন। কিন্তু এই বিষয়ে আলোচনা খুবই ধীর গতিতে চলছে। অ্যামেরিকা ও অন্য দেশগুলি চাপ দিয়েও কিছু করতে পারছে না।
জাতিসংঘে গায়ানার রাষ্ট্রদূত ক্যারোলিন রডরিগেস-বিরকেট বলেছেন, ''আমি নিশ্চিত, আর কিছুদিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। যা ইঙ্গিত এসেছে, তাতে মনে হয়, সবকিছু ঠিক দিকেই এগোচ্ছে।''
সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র
অ্যামেরিকা তাদের নাগরিকদের বিমানে করে নিরাপদে প্রতিবেশী দেশ ডমিনিকান রিপাবলিকে নিয়ে গেছে। সেখান থেকে তাদের ফ্লোরিডাতে নিয়ে আসা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি জানিয়েছেন, মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মার্কিন সেনা জেনারেল লরা রিচার্ডসন বলেছেন, ''যাই হোক না কেন, সেনা প্রস্তুত আছে।''
সহিংসতা ছড়াচ্ছে
মঙ্গলবার রাজধানী শহরের আশপাশের এলাকাতেও সহিংসতা ছড়িয়েছে। এখানেই সব বিলাসবহুল হোটেল ও রেস্তোরাঁ আছে। গত সপ্তাহেই একজন গ্যা-লিডার হুমকি দিয়ে বলেছে, এবার রাজনীতিকদের টার্গেট করা হবে।
স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, অপরাধী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে গুলির লড়াই চলছে। বিভিন্ন রাস্তায় এই লড়াই হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত ১৫ জন মারা গেছেন।
একজন হকার বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তিনি রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে জিনিস বিক্রি করতেন। কিন্তু এখন পুরো এলাকা জুড়ে লড়াই হচ্ছে। ফলে তিনি কিছুই বিক্রি করতে পারছেন না। ক্রেতারাও ভয়ে রাস্তায় নামছেন না।
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের হুঁশিয়ারি
সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে হাইতিতে লাখ লাখ মানুষ ঘর ছেড়েছেন। প্রচুর মানুষ মারা গেছেন। অনেক নারী ধর্ষিতা হয়েছেন। অনেককে অপহরণ করা হয়েছে। খাবারের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। অক্সিজেন ও রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না।
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম জানিয়েছে, এই অবস্থা চলতে থাকলে অপুষ্টি ও দুর্ভিক্ষ অবশ্যম্ভাবী। রাজধানী শহরে তারা খাবার বিতরণ করতে পারছেন না। কারণ, অধিকাংশ রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
হাইতিতে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তারা সর্বশক্তি দিয়ে মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাদের নিরাপত্তা চাই ও সব জায়গায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)