1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হুইপের জুয়ায় আয়ের অভিযোগ, ইন্সপেক্টর বরখাস্ত

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সরকার দলীয় হুইপ শামসুল হক চৌধুরীকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে পুলিশ ইন্সপেক্টর মাহমদু সাইফুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে৷ তবে স্ট্যাটাসে তিনি যে অভিযোগ করেছেন তার তদন্ত হবে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/3QIYj
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin

গত ২০ সেপ্টেম্বর ইন্সপেক্টর সাইফুল আমিন নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেন, চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের জুয়ার আসর থেকে গত পাঁচ বছরে ক্লাবটির মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ১৮০ কোটি টাকা আয় করেছেন৷

ইন্সপেক্টর সাইফুল আমিন সর্বশেষ ঢাকার উত্তরা আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নে কর্মরত থাকলেও এর আগে তিনি চট্টগ্রামের হালিশহর থানাসহ আরো কয়েকটি থানায় কর্মরত ছিলেন৷

এই ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর বুধবার তাকে সাময়িব বরখাস্ত করেছে পুলিশ সদরদপ্তর৷ বিভাগীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ ও পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে এই সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেয়া হয়৷

আদেশে বলা হয়েছে, বিভাগীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপ, জনসসমক্ষে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন করা ও অসদাচরণের দায়ে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ১২ (১) অনুযায়ী চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো৷ পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, বিভাগীয় তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ তাকে এখন রংপুর রেঞ্জের ডিজাইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে৷

বড় কথা হলো তিনি সত্য প্রকাশ করেছেন কিনা: ব্যারিস্টার সুমন

এদিকে এই পুলিশ ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে হুইপ শামসুল হক চৌধুরী বুধবারই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন৷

আর এই মামলায় ইন্সপেক্টরের পক্ষে আইনি লড়াই চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ইন্সপেক্টর সাহেবকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো৷ কিন্তু তিনি হুইপের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তার তো তদন্ত হওয়া দরকার৷ কিন্তু সেই তদন্তের কোনো লক্ষণ আমরা এখনো দেখতে পাচ্ছি না৷’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি যে তথ্য প্রকাশ করেছেন তার সত্যতা যাচাই করা প্রযোজন৷ তিনি যদি সত্য প্রকাশ করে থাকেন, তাহলে সেটা অপরাধ হতে পারে না৷ তিনি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেছেন কিনা সেটা বড় কথা নয়৷ বড় কথা হলো, তিনি সত্য প্রকাশ করেছেন কিনা৷’’

সুমন বলেন, ‘‘সমাজে সত্য প্রকাশে সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে৷ আর যারা সাহস করে সত্য প্রকাশ করছেন, তাদের যদি মামলা ও শাস্তির মধ্য দিয়ে দমিয়ে দেয়া হয় তা সমাজের জন্য ভালো নয়৷ এজন্যই আমি তার পক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো৷’’

দুই দিকেই তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা নেয়া দরকার: ড. ইফতেখারুজ্জামান

হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত হবে কিনা জানতে চাইলে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত আইজি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী ডয়চে ভেলের কাছে কোনো মন্তব্য না করে পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন৷ জনসংযোগ বিভাগের এআইজিকে এ নিয়ে ফোন করে এবং টেক্সট মেসেজ পাঠিয়েও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি৷

এদিকে হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ও ইন্সপেক্টর সাইফুল আমিন কাউকেই ফোনে পাওয়া যায়নি৷ তবে গত শনিবার চট্টগ্রামে আবাহনী, মোহামেডানসহ পাঁচটি ক্লাবে র‌্যাবের অভিযানের পর সামশুল হক চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে, মদের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে৷ কিন্তু জুয়ার নামে ক্লাবগুলোতে অভিযান মানা যায় না৷’’

এদিকে টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখানে দুই দিকেই তদন্ত এবং আইনি ব্যাবস্থা নেয়া দরকার৷ হুইপের বিরুদ্ধে ইন্সপেক্টর যে অভিযোগ করেছেন তার তদন্ত হওয়া দরকার৷ তিনি ওই অবৈধ আয় করেছেন কিনা তা তদন্ত করে দেখা উচিত৷ অন্যদিকে ইন্সপেক্টর সাহেব যেহেতু জানতেন তিনি তো কর্তৃপক্ষকে আগেই জানাতে পারতেন৷ আইনগতভাবেও ব্যবস্থা নেয় যেতো৷’’

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য