হ্যারি পটারের পরও পৃথিবী থাকবে
৭ জুলাই ২০১১আজ বৃহস্পতিবার লন্ডনে ‘‘হ্যারি পটার এ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস''-এর দ্বিতীয় অংশের মোহরত৷ এটি হল অষ্টম হ্যারি পটার ফিল্ম৷ ফিল্ম ফ্র্যাঞ্চাইজের জগতে আর কোনো কাহিনী এরকম অতুলনীয় সম্পদ সংগ্রহ করেনি – নিন্দুকেরা বলে, সেটাই হল হ্যারি পটারের আসল ম্যাজিক৷ কিন্তু জীবনের একটা নিজস্ব ম্যাজিক আছে৷ সেই ম্যাজিক অনুযায়ী ড্যানিয়েল ব়্যাডক্লিফ, এমা ওয়াটসন, রুপার্ট গ্রিন্ট, এরা সবাই শিশু থেকে কৈশোর হয়ে যৌবনে পা দিয়ে ফেলেছে এই দশটা বছরে৷ তাদের সামনে পড়ে রয়েছে সমগ্র একটা জীবন৷ জে কে রোওলিং আর না লিখলেই হ্যারি পটারের বয়স বাড়বে না৷ কিন্তু বাকিদের?
তাই ড্যানিয়েল মিউজিকাল কমেডিতে ঢুকেছে, এমা মডেলিং'এ আর রুপার্ট কম বাজেটের ছবিতে অভিনয় করছে৷ অর্থের জন্য নয়৷ হ্যারি পটার ছবিগুলি থেকে এদের রোজগার হয়েছে যথাক্রমে ৪২ মিলিয়ন, ২২ মিলিয়ন ও ২০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড৷ এরা খুঁজছে হ্যারি পটারের ম্যাজিক ছাড়াই মাটির পৃথিবীতে অন্য কোনো ম্যাজিক, অন্য কোনো স্বপ্ন, যেটা হয়তো অনেক বেশি শক্ত কাজ৷ তাই ‘হ্যারি পটার'কে লন্ডন ও নিউ ইয়র্কের একটি মিউজিকালে উলঙ্গ অবস্থাতেও দেখা গেছে৷ ‘হের্মিওনে গ্র্যাঙ্গার' তার চুল কেটে মডেলিং শুরু করেছে৷ ‘রন উইসলি' কম বাজেটের যুদ্ধবিরোধী নরওয়েজীয় ছবি ‘কমরেড'এ অভিনয় করছে৷
আর তাদের মানসিক অবস্থা? রুপার্ট বলেছে, হ্যারি পটারের সাথী হিসেবে তার যে ইমেজটা তৈরি হয়ে গেছে, সেটা থেকে সরে আসাই হল তার চ্যালেঞ্জ৷ ড্যানিয়েল বলেছে, সে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের ভূমিকায় অভিনয় করে দেখিয়ে দিতে চায় যে, শিশু অভিনেতারাও বড় হয়ে উঠতে পারে৷ আর হ্যারি পটার থেকে প্রাপ্ত দৌলতের অর্থ হল, তাকে আর কোনোদিন অর্থ নিয়ে ভাবতে হবে না, বলেছে ড্যানিয়েল৷ এমা'কে শীঘ্রই দেখা যাবে গোটা দুই ছবিতে৷ তবে সে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনে পড়াশোনার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে৷
আমরা শুধু বলতে পারি: গুড লাক৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন