‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’
৯ এপ্রিল ২০১৪
লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর আগে বলেছিলেন, ‘‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি৷'' আর এবার তিনি বঙ্গবন্ধুকে ‘‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী'' বললেন৷ বললেন, ‘‘বর্তমানে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাও জোর করে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন৷'' মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের ওয়েস্ট মিনস্টার সেন্ট্রাল হলে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সুশীল সমাজের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তারেক এ সব কথা বলেন৷
তারেক রহমান বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের খসড়ায় সংবিধান রচিত না হওয়া পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হলেও ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি বাংলাদেশে ফেরার পর ১২ই জানুয়ারি তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন৷''
তারেক রহমান দাবি করেন, ‘‘২০১০ সালের ২৮শে অক্টোবর প্রকাশিত পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক'-এ পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বন্দী থাকা এবং একসঙ্গে দেশে প্রত্যাবর্তনকারী ড. কামাল হোসেন এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন যে, তাঁরা দু'জনেই পাকিস্তানের পাসপোর্টে দেশে ফিরেন৷
ড. কামালকে উদ্ধৃত করে তারেক বলেন, ‘‘তাঁরা দু'জনই সে সময় পাকিস্তানের পাসপোর্টে দেশে ফিরেছিলেন৷ জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনায় দেশে ফেরার কথা আলোচনা হলেও সে সময়ে তাঁরা সেই ব্যবস্থায় আসেননি৷ পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে এসে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷'' তারেক বলেন, ‘‘তাই ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন৷ বর্তমানে যেমন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাও জোর করে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন৷''
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘অবৈধ' প্রধানমন্ত্রী বলায় তারেক রহমানকে ‘অর্বাচীন' বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম৷ বুধবার তিনি বলেন, ‘‘রাজনীতিতে এঁদের মতো অর্বাচীনরা এ সব কথা বলতে পারেন৷''
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘‘বিএনপির রাজনীতি ক্যানসারের মতো৷ তাদের আমরা মাঠে পরাজিত করেছি৷ এখন হতাশ হয়ে পাগলের প্রলাপ বকছে৷'' তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়টি আইন-সংশ্লিষ্টদের কাজ৷''
ওদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘‘বিএনপির নেতাদের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে৷ মস্তিষ্ক বিভ্রাট না ঘটলে জিয়াউর রহমানকে তাঁরা ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি' বলতে পারতেন না৷