1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যে কারণে ক্ষমা চাইলো স্টারবাকস

১৭ এপ্রিল ২০১৮

৪৫ সেকেন্ডের ছোট এ ভিডিওটি দেখা গেছে কৃষাঙ্গ দু'জনের কাছে এমনকি সামান্য ব্যাগ পর্যন্ত ছিল না৷ পরে বিচারক তাদের বেকসুর খালাস দিলেও বর্ণবাদী আচরণের কারণে টুইটারে স্টারবাকস বর্জনের দাবিতে উঠেছে ঝড়৷

https://p.dw.com/p/2wAFH
Starbucks - Cafe mit Logo
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Hase

অ্যামেরিকার ফিলাডেলফিয়ার স্টারবাকস-এর একটি শাখার টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়েছিলেন দু'জন কৃষ্ণাঙ্গ ৷ কিন্তু যেহেতু তারা কিছু কেনেননি, এ অজুহাতে ঐ শাখার একজন কর্মী তাদেরকে টয়লেট ব্যবহার করতে দিতে বাধা দিয়েছেন৷ এই ঘটনা নিয়ে বিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিক্রয়কর্মী পুলিশ ডাকেন৷

টুইটার ও ইউটিউবে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওটিতে দেখা গেছে, এর কিছুক্ষণ পর একদল পুলিশ এসে কৃষ্ণাঙ্গ দু'জনকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে৷ এ সময় একজন শ্বেতাঙ্গকে বলতে শোনা যাচ্ছিল – ‘‘এটা খুবই হাস্যকর৷ তাদের অপরাধ কী? তারা এখানে আমার সাথে দেখা করতে এসেছে৷''

৪৫ সেকেন্ডের ছোট এ ভিডিওটি দেখা গেছে কৃষাঙ্গ দু'জনের কাছে এমনকি সামান্য ব্যাগ পর্যন্ত ছিল না৷ এ ঘটনায় অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে আটকদের ছাড়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু টুইটারে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়৷

১২ এপ্রিল ওই ভিডিও প্রকাশের পর টুইটারে মোট ভিউ হয় ৮ মিলিয়ন৷ স্টারবাকস-এর বর্ণবাদী এ আচরণের প্রেক্ষিতে খোলা হয় একটি হ্যাশট্যাগ – #BoycottStarbucks৷ পরে স্টারবাকস-এর প্রধান নির্বাহী কেভিন আর জনসন এ ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেন৷ ভিডিওটি রিটুইট হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার বার৷ ফেইসবুকেও এ ঘটনাটির ভিডিও ভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে৷ ভিউ হয়েছে লক্ষাধিকবার৷ আর ইউটিউবে চারদিনে এটা দেখা হয়েছে ৫ লাখ ৬৬ হাজার বারেরও বেশি৷

এইচআই/ডিজি (নিউ ইয়র্ক টাইমস)