1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৫০ বছরে পা দিচ্ছেন জেমস বন্ড

১২ জানুয়ারি ২০১২

১৯৬২ সালে ‘ডক্টর নো’ ছবির শুটিং’এর মধ্য দিয়ে জেমস বন্ড’এর যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকেও সেই সাফল্য বজায় রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/13i8c
বন্ড’এর হালের অবতার: ড্যানিয়েল ক্রেগছবি: AP

ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআইফাইভ'এর সেরা এজেন্ট৷ প্রয়োজনে মানুষ খুন করারও বিশেষ অনুমতি রয়েছে৷ দুর্বলতা বলতে শুধু নারী৷ সুন্দরী নারীদের সঙ্গ ছাড়া তার চলে না, তা সে নিজের দপ্তরের মিস মানিপেনিই হোক, প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হোক – এমনকি একেবারে শত্রু শিবিরের কোনো নারী হোক৷ প্রখর বুদ্ধি, অসামান্য রসবোধ, শারীরিক শক্তি ও আত্মরক্ষার কৌশলও তার রপ্ত৷ আর অবশ্যই রয়েছে তার হাতে ‘কিউ'এর তৈরি প্রযুক্তির নতুন চমক, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বন্ড'এর গাড়ি৷ জেমস বন্ড'কে অল্প কথায় এভাবেই বর্ণনা করা যেতে পারে৷

মজার কথা হলো, সবাই বন্ড'কে এভাবেই চেনে৷ একের পর এ ছবিতে বন্ড ঠিক একই আচরণ করে চলেছেন৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পারিপার্শ্বিক বদলে যাচ্ছে৷ সোভিয়েত ইউনিয়ন আর নেই, তাই বদলে গেছে শত্রুও৷ প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে বন্ড'এর চমকও বাড়ছে৷ কিন্তু বন্ড কখনোই পুরানো হন না৷ গত ৫ দশকে অভিনেতা বেশ কয়েকবার বদলে গেলেও পরিচিত বন্ড'কে দেখতেই বার বার দর্শকরা ভিড় করেন সিনেমা হলে৷ শন কনারি, রজার মুর, জর্জ ল্যাজেনবি, টিমথি ডালটন, পিয়ার্স ব্রজন্যান ও হালে ড্যানিয়েল ক্রেগ জেমস বন্ড'এর ভূমিকায় অভিনয় করে এসেছেন৷

Ein Aston Martin, das Auto, das James Bond benutzt
এ্যাশটন মার্টিন: বন্ডের সেই সুবিখ্যাত গাড়িছবি: AP

১৯৬২ সালের ১৬ই জানুয়ারি – অর্থাৎ প্রায় ৫০ বছর আগে জামাইকায় শুরু হয়েছিল ‘ডক্টর নো' ছবির শুটিং৷ তখন থেকেই এজেন্ট ‘জিরো জিরো সেভেন' অমর হয়ে রয়েছেন৷ চলতি বছরের শেষে মুক্তি পাচ্ছে ২৩তম বন্ড ছবি ‘স্কাইফল'৷

শুরুতে কিন্তু জেমস বন্ড'এর মতো চরিত্রের সাফল্য নিয়ে বেশ সন্দেহ ছিল৷ হলিউডে অনেকে ভেবেছিলেন, এতটা ব্রিটিশ এই চরিত্র গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না৷ অভিনেতা খোঁজার কাজও সহজ হয় নি৷ তবে শন কনারি যেভাবে বন্ড'কে ফুটিয়ে তুলেছেন, তা সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছিল৷ অ্যাকশন হিরো হওয়া সত্ত্বেও তাঁর অনবদ্য রসিকতা সবার মনে ধরেছিল৷

অতএব ধরে নেওয়া যেতে পারে, আরও অনেক কাল ধরে শোনা যাবে সেই বিখ্যাত সংলাপ: ‘মাই নেম ইজ বন্ড, জেমস বন্ড'৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য