৫০ বছরে পা দিচ্ছেন জেমস বন্ড
১২ জানুয়ারি ২০১২ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআইফাইভ'এর সেরা এজেন্ট৷ প্রয়োজনে মানুষ খুন করারও বিশেষ অনুমতি রয়েছে৷ দুর্বলতা বলতে শুধু নারী৷ সুন্দরী নারীদের সঙ্গ ছাড়া তার চলে না, তা সে নিজের দপ্তরের মিস মানিপেনিই হোক, প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হোক – এমনকি একেবারে শত্রু শিবিরের কোনো নারী হোক৷ প্রখর বুদ্ধি, অসামান্য রসবোধ, শারীরিক শক্তি ও আত্মরক্ষার কৌশলও তার রপ্ত৷ আর অবশ্যই রয়েছে তার হাতে ‘কিউ'এর তৈরি প্রযুক্তির নতুন চমক, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বন্ড'এর গাড়ি৷ জেমস বন্ড'কে অল্প কথায় এভাবেই বর্ণনা করা যেতে পারে৷
মজার কথা হলো, সবাই বন্ড'কে এভাবেই চেনে৷ একের পর এ ছবিতে বন্ড ঠিক একই আচরণ করে চলেছেন৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পারিপার্শ্বিক বদলে যাচ্ছে৷ সোভিয়েত ইউনিয়ন আর নেই, তাই বদলে গেছে শত্রুও৷ প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে বন্ড'এর চমকও বাড়ছে৷ কিন্তু বন্ড কখনোই পুরানো হন না৷ গত ৫ দশকে অভিনেতা বেশ কয়েকবার বদলে গেলেও পরিচিত বন্ড'কে দেখতেই বার বার দর্শকরা ভিড় করেন সিনেমা হলে৷ শন কনারি, রজার মুর, জর্জ ল্যাজেনবি, টিমথি ডালটন, পিয়ার্স ব্রজন্যান ও হালে ড্যানিয়েল ক্রেগ জেমস বন্ড'এর ভূমিকায় অভিনয় করে এসেছেন৷
১৯৬২ সালের ১৬ই জানুয়ারি – অর্থাৎ প্রায় ৫০ বছর আগে জামাইকায় শুরু হয়েছিল ‘ডক্টর নো' ছবির শুটিং৷ তখন থেকেই এজেন্ট ‘জিরো জিরো সেভেন' অমর হয়ে রয়েছেন৷ চলতি বছরের শেষে মুক্তি পাচ্ছে ২৩তম বন্ড ছবি ‘স্কাইফল'৷
শুরুতে কিন্তু জেমস বন্ড'এর মতো চরিত্রের সাফল্য নিয়ে বেশ সন্দেহ ছিল৷ হলিউডে অনেকে ভেবেছিলেন, এতটা ব্রিটিশ এই চরিত্র গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না৷ অভিনেতা খোঁজার কাজও সহজ হয় নি৷ তবে শন কনারি যেভাবে বন্ড'কে ফুটিয়ে তুলেছেন, তা সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছিল৷ অ্যাকশন হিরো হওয়া সত্ত্বেও তাঁর অনবদ্য রসিকতা সবার মনে ধরেছিল৷
অতএব ধরে নেওয়া যেতে পারে, আরও অনেক কাল ধরে শোনা যাবে সেই বিখ্যাত সংলাপ: ‘মাই নেম ইজ বন্ড, জেমস বন্ড'৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক