৮৪ শতাংশ ইউরেনিয়াম মজুত করেছে ইরান
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩সোমবার জাতিসংঘের পরমাণু সংক্রান্ত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, গত কয়েকবছর ধরে ইরান যে ইউরেনিয়াম মজুত করছে, তা এখন ৮৪ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে। পরমাণু বোমা তৈরি করতে প্রয়োজন হয় ৯০ শতাংশ ইউরেনিয়াম। অর্থাৎ, অস্ত্র তৈরি করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে ইরান।
বিষয়টি নিয়ে আইএইএ ইরানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে। তবে তেহরান এখনো পর্যন্ত এবিষয়ে মুখ খোলেনি। ২০২১ সালে ইরান ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম জমা করে ফেলেছিল। বস্তুত, এর কিছুদিন পরেই জানা যায়, পাহাড়ের মাঝখানে আরো একটি পরমাণু কেন্দ্র তৈরি করেছে ইরান। সেখানেও তারা ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম জমা করে ফেলেছে। তবে ৮৪ শতাংশ ইউরেনিয়াম মজুত করার বিষয়টি চলতি সপ্তাহেই সামনে এসেছে। এর থেকেই প্রমাণ হয়, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ইউরেনিয়াম জড়ো করার কাজটি চালাচ্ছে ইরান।
ইউরেনিয়ামমজুত নিয়ে ইরান সম্পূর্ণ তথ্য দিচ্ছে না বলে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ করছিল আইএইএ। দুইটি কাসকেডের মধ্যে এই ইউরেনিয়াম মজুত হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। কাসকেড দুইটির মধ্যে যোগ আছে। ফলে ঠিক কত পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুত হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা করতে পারেনি পরমাণু সংস্থা।
২০১৮ সালে পরমাণু চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে যায় ট্রাম্পের অ্যামেরিকা। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে ইউরেনিয়াম মজুত করতে শুরু করে ইরান। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ইরানের সঙ্গে নতুন করে পরমাণু চুক্তির চেষ্টা হয়। কিন্তু ইরান জানায়, তাদের উপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা না তুললে তারা নতুন চুক্তিতে অংশ নেবে না। শেষপর্যন্ত নতুন প্রক্রিয়াটি ভেস্তে যায়। তারইমধ্যে ইরান ৮৪ শতাংশ পরমাণু মজুত করে ফেলায় আন্তর্জাতিক মহলে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)