বিদায় রবিন গিব
২৪ মে ২০১২গীতিকার, সুরকার ও গায়ক রবিন গিব তাঁর যমজ ভাই মরিস ও বড় ভাই ব্যারিকে নিয়ে গঠন করেছিলেন ‘বি জিস' সংগীত গোষ্ঠী৷ তাদের পপ, ডিস্কো ও ব্যালাড আঙ্গিকের ভিন্নধর্মী সংগীত বিশ্বব্যাপী জয় করেছিল অসংখ্য অনুরাগীর হৃদয়৷ আজও চিরসবুজ হয়ে আছে এই গোষ্ঠীর বহু গান৷
রবিন গিবের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২২শে ডিসেম্বর ব্রিটেনের আইল অফ ম্যান-এ৷ বাবা ছিলেন অপেশাদার ড্রাম বাদক৷ খুব ছোট বেলায় তাঁরা চলে আসেন ম্যানচেস্টার শহরে৷ ছ'বছর বয়স থেকে মরিস ও ব্যারির সাথে মাউথ-অর্গান দিয়ে সংগীত চর্চা শুরু করেন তিনি৷ ১৯৫৮ সালে পরিবারের সাথে পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়৷ সেখানে ‘ব্রাদার্স গিব' নামে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনা করে বেশ খ্যাতি অর্জন করেন৷ ৬৬ সালে তাঁরা ফিরে আসেন ইংল্যান্ডে৷ এখানেই শুরু হয় ‘বি জিস'-এর সফল অগ্রযাত্রা৷ ৬৭ সালে ‘ম্যাসাচুসেটস' গানটি তাদের এনে দেয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি৷ তার পর থেকেই ৭০ দশক অবধি পপ তথা ডিস্কো সংগীতাঙ্গনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে স্থান করে নেয় ‘বি জিস'৷ বিশেষ করে ৭৭ সালে ডিস্কো ও সংগীত ভিত্তিক ছায়াছবি ‘স্যাটার্ডে নাইট ফিভার' এর আবহ সংগীত বিশ্বব্যাপী পায় অসাধারণ খ্যাতি ও সাফল্য৷
‘বি জিস'-এর অধিকাংশ হিট গানেরই রচয়িতা ও সুরকার রবিন৷ বহু খ্যাতিমান সংগীত শিল্পীর জন্য রচনা করেছেন বহু হিট গান৷‘বি জিস'-এর পাশাপাশি একক সংগীত শিল্পী হিসেবেও তিনি পেয়েছেন বিপুল সমাদর৷ ৬৯ সালে তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘সেভড বাই দ্য বেল' আন্তর্জাতিক হিট তালিকায় প্রথম ১০টি গানের একটি হিসেবে স্থান অধিকার করে৷
মতবিরোধের কারণে ‘বি জিস'-এর মধ্যে বেশ কয়েকবার ফাটল ধরলেও রবিনের একক সংগীত জীবনে কোনো ছেদ পড়েনি৷ ৯৪ সালে ‘সংস্ রাইটার্স হল অফ ফেম'-এ অভিষিক্ত হোন তিনি৷ ২০০৪ সালে ‘ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়' সংগীতের জন্য তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টর উপাধি প্রদান করে৷ চারবার গ্র্যমিসহ আরো বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি৷ বহুদিন ধরে দুরারোগ্য ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ২০শে মে লন্ডনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সংগীত জগতের বহুমুখী প্রতিভার অধিকারি রবিন গিব৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন