1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তিস্তার পানি নয়, বিকল্প দিচ্ছেন মমতা

১৮ ডিসেম্বর ২০২০

তিস্তার পানিবণ্টন বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোভাবের কথা ডয়চে ভেলের ইউটিউব টকশোর এবারের পর্বে এভাবেই তুলে ধরেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অর্পিতা ঘোষ৷

https://p.dw.com/p/3mw8Z
তিস্তার পানিবণ্টন বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোভাবের কথা ডয়চে ভেলের ইউটিউব টকশোর এবারের পর্বে এভাবেই তুলে ধরেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অর্পিতা ঘোষ৷
ছবি: DW

ডয়চে ভেলে বাংলার সাপ্তাহিক ইউটিউব টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়'-এর এবারের পর্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অর্পিতা ঘোষ এবং ঢাকা থেকে ছিলেন বিএনপির সাংসদ রুমিন ফারহানা৷ এবারের প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে? আলোচনার কেন্দ্রে থাকে তিস্তার পানিবণ্টনসীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ৷

এ বিষয়ে অনুষ্ঠানে প্রথম প্রশ্ন করা হয় তৃণমুল কংগ্রেসের সাংসদ ও নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষকে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু সব সময়ই বাংলাদেশের সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে এসেছেন৷ কিন্তু তবুও ইস্যু থাকেই, যেমন তিস্তার বিষয়টি৷ আমি যে অঞ্চলের সাংসদ, সেই দক্ষিণ দিনাজপুর, একেবারে বাংলাদেশের গায়ে৷ তিস্তার জল আমাদের জন্যেও সমস্যা, কারণ, তার ওপর নির্ভর করে আমাদের গোটা উত্তরবঙ্গের কৃষি৷ আমাদের অঞ্চলের কৃষকদের দিকে তাকিয়েও সিদ্ধান্ত নিতে হয়৷’’

কিন্তু এই পানি না দেওয়া ও এতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আমাদের দলের দৃষ্টিভঙ্গির অনেক তফাত৷ সব সিদ্ধান্ত দুই অংশ মিলে হয় না৷ রাজ্যের সাথে আলোচনা করে না কেন্দ্র৷ কিন্তু রাজ্য যখন বলে যে আমরা তিস্তার জল দেবো না, তখন তার অল্টারনেটিভও কিন্তু রাজ্য দেয়৷ কেন্দ্র তা দেখে না, তা নিয়ে কথা বলে না৷ গোটা বিশ্বের সব ডিপ্লোমেসিই কারো না কারো স্বার্থের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকে৷  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাই নিজের স্বার্থের জন্যই জল দিতে রাজি হচ্ছেন না৷’’

সাম্প্রতিক ভারত-বাংলাদেশ বৈঠকে কেন এসব আলোচিত হলো না, সে প্রসঙ্গে বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, ‘‘মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বারবার বৈঠক হয়েছে দুই দেশের প্রধানের মধ্যে৷ তিস্তার পানি নিয়ে, সীমান্ত হত্যা নিয়ে শুধু আশ্বাসই রয়েছে৷ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য-বৈষম্যের মতো ইস্যু নিয়েও কথা হয়নি৷ মানুষের ইস্যু নিয়ে এই দুই রাষ্ট্রের প্রধানদের মধ্যে কথা হয় না৷ এটাকে দুই রাষ্ট্রের সুসম্পর্ক বলে না৷ ভারতের কাছ থেকে ২০১১ সাল থেকে দীর্ঘ নয় বছর ধরে আমরা শুধু আশ্বাসই পেয়েছি৷ দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব হয় আসলে যার যার স্বার্থমতে৷ এখানে দুই দেশের প্রধানের প্রায়োরিটি কী, তা বুঝতে হবে৷’’

এই পর্বে এছাড়াও আলোচিত হয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যার প্রসঙ্গ৷ রুমিন ফারহানা তোলেন ক্ষমতাসীন দলের ভূমিকার কথা, অর্পিতা ঘোষ সীমান্তে রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় এক্তিয়ারের কথা উল্লেখ করেন৷

এসএস/এসিবি