তিস্তার তিতা ও প্রধানমন্ত্রীর মিষ্টি সম্পর্ক
২৯ অক্টোবর ২০১৯আপনি মানবিক কারণে ফেনী নদীর পানি দেন, সম্পর্কের মিষ্টতার বিবেচনায় তিস্তা নিয়ে কিছু বলেন না৷ আপনার দিক থেকে তা হয়তো ঠিক আছে, কিন্তু তিস্তার পানি না এলে সামনের শুকনা মৌসুমে এই মিষ্টি কথায় উত্তরবঙ্গের শুকনো চিড়া ভিজবে না৷ কে জানে হয়তো ভিজবে, কিন্তু তাতে নিশ্চিত করেই আপনার নির্বাহী আদেশ লাগবে৷
খুব নিরপেক্ষভাবে হাসিনা সরকারের পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে সফলতার পাল্লাই ভারী৷ কিন্তু প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, আপনাকে কি কেউ বলেছে, প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের বিবেচনাতে আপনার ব্যর্থতার কথা?
আমরা বার্তাবাহক, তাই আমাদের প্রতিপক্ষ না ভেবে বিষয়টা একটু বিবেচনা করে দেখুন৷ তিস্তার পানি দিচ্ছে না বলে আগের টার্মে আপনি ট্রানজিট দিতে চাননি৷ এবার এসে আপনি তিস্তার কথা তুলতেও স্বস্তি বোধ করছেন না!
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনেই আপনি বলেছেন, আপনার অভিধানে ভয় বলে শব্দটি নেই৷ তবে কী আমরা ধরে নেবো প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ককেই আপনি সবার উপরে রাখছেন, এমনকি দেশের জনগণের পাওনা স্বার্থেরও উপরে?
বাংলাদেশ থেকে ভারত অনেক শক্তিশালী দেশ সন্দেহ নেই৷ জোর করে তাদের কাছ থেকে হয়তো কিছু আদায় করা যাবে না৷ কিন্তু তারা যে তিস্তার পাওনা হিস্যা দিচ্ছে না এবং এ বিষয়টি যে আপনি পছন্দ করছেন না, তা তো অন্তত আপনার জানানো দরকার৷
কে না জানে, মর্যাদাবোধ হচ্ছে ন্যায্যতার দাবি মাথা উঁচু করে বলতে পারা?
সৌরভ গাঙ্গুলি ভারতীয় ক্রিকেটের সভাপতি হয়েছেন বলে আপনি খুব খুশি কারণ তিনি খুব ভালো খেলতেন৷ বাঙালির ছেলে দাওয়াত দিচ্ছেন বলে আপনি উড়ে উড়ে ইডেন চলে যাচ্ছেন৷ একবার ভাবুনতো, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ভালো খেলেছেন এরকম কেউ কবে হতে পারবেন, আর জনাব নাজমুল হাসান পাপনের দাওয়াতে নরেন্দ্র মোদী কোনোদিন খেলা দেখতে আসবেন কিনা?