1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নন্দীগ্রামে গুলি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মমতার

৩০ মার্চ ২০২১

নন্দীগ্রাম নিয়ে জোরদার বিতর্ক৷ আর সেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

https://p.dw.com/p/3rMtP
নির্বাচনি প্রচারণায় মমতাছবি: Prabhakarmani Tewari/DW

নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে বোমাটা ফাটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেছেন, ‘‘বাপ-ব্যাটার পারমিশান ছাড়া সেদিন নন্দীগ্রামে পুলিশ ঢুকতে পারত না৷ আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি৷ আমি একটা সরকার চালাই৷ আমি খোঁজখবর করে নিয়েছি৷’’ মুখ্যমন্ত্রী বলন, ‘‘মনে আছে, হাওয়াই চটি পরে এসেছিল এবং ধরা পড়ে গেছিল। এবারও সেরকম কেলেঙ্কারি করছে৷ অনেক বিএসএফ, সিআইএসএফের ড্রেস কিনেছে। যারা এসব করে, তারা জানে৷’’

এভাবেই  ২০০৭ সালে পুলিশের গুলিচালানোর ঘটনা, হাওয়াই চটি পরে পুলিশের বেশে দুষ্কৃতীদের ঢুকে পড়ার ঘটনার দায় নাম না করে বাপ-ব্যাটার উপর চাপিয়ে দিয়েছেন মমতা। আর এই বাপ-ব্যাটা যে শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারী তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

মমতার এই মন্তব্য নিয়ে প্রবল শোরগোল শুরু হয়ে গেছে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরে এখন শশ্মানের নীরবতা। সে সময়ের কুটিল চিত্রনাট্যের চক্রান্তকারীরা আজ দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছে বাংলার যুব সমাজ’।

এতদিন এই দায় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশমন্ত্রীর উপরই ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নতুন তত্ত্ব নিয়ে আসায় বুদ্ধদেব ও সিপিএমও দায় ঝেড়ে ফেলার সুযোগ পেয়ে গেল। তবে নন্দীগ্রামে এরপরই হয়েছিল সিপিএমের অপারেশন সানসাইন বা সূর্যোদয়। তা নিয়ে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ওদের ভাষাতেই ওদের জবাব দেয়া হয়েছে। ফলে এভাবে দায় ঝেড়ে ফেলা সম্ভব নয় বলে তৃণমূল নেতাদের দাবি। তবে এই বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে রীতিমতো আলোড়ন দেখা দিয়েছে।

গোটা পশ্চিমবঙ্গের নজর নন্দীগ্রামে

নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর জবাব, ''ওনার নন্দী-মা বলে একটা বই আছে। সেটা পড়ুন। দেখুন  তিনি সেখানে কী লিখেছেন। তাহলে তার দ্বিচারিতা বুঝতে পারবেন''। তিনি বলেছেন, ‘‘ফেরেব্বাজ মুখ্যমন্ত্রী’’৷

প্রশ্ন অনেক। মুখ্যমন্ত্রী বাপ-ব্যাটার কীর্তির কথা যদি পরে জেনে থাকেন, তা হলে তখন কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি? কেন তিনি এতদিন চুপ করে থাকলেন? নন্দীগ্রামে কঠিন লড়াইয়ে নেমে কেন তার এই কথা মনে পড়ল? 

প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সেসময় টিভি ক্যামেরার সামনে বলেছিলেন, পুলিশ গুলি চালিয়ে ভুল করেছিল। গুলি চালানো উচিত হয়নি। অর্থাৎ, তিনিও স্বীকার করে নিয়েছিলেন, গুলি পুলিশ চালিয়েছিল। যেটা মমতা বলতে চেয়েছেন, তা হলো, তলে তলে সিপিএম ও পুলিশকে বাপ-ব্যাটা সাহায্য করত৷’’ শুভাশিস বলেছেন, ‘‘এই ঘটনা ঘটেছিল কী না তা আমরা জানি না। এটা নির্বাচনী প্রচারের ভাষণ। এর সত্য-মিথ্যা যাচাই করা মুশকিল। ঘটনা হলো, মুখ্যমন্ত্রী এখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে পুলিশের সঙ্গে এক ব্র্যাকেটে ফেলে দিয়েছেন৷’’

জিএইঅচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)