1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যাটোর হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল ত্রিপোলি

২১ মে ২০১১

ত্রিপোলির সরকার নিয়ন্ত্রিত বন্দরে ন্যাটোর বিমানহামলার কড়া সমালোচনা করল গাদ্দাফি প্রশাসন৷ এদিকে লিবিয়ার বিদ্রোহীদের জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পাঠাবার কথা জানাল পেন্টাগন৷

https://p.dw.com/p/11KxO
ন্যাটোর হামলার পর জ্বলছে গাদ্দাফির যুদ্ধজাহাজছবি: AP

ন্যাটোর বিমানহামলা ত্রিপোলির বন্দরে

গত মার্চ মাস থেকেই লিবিয়ার গাদ্দাফি প্রশাসনকে উৎখাত করতে বিমানহামলা শুরু করেছে ন্যাটো৷ তারই অঙ্গ হিসেবে বৃহস্পতিবার থেকে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির সরকার নিয়ন্ত্রিত বন্দরে মোট আটটি জাহাজকে বিমানহামলার দ্বারা ধ্বংস করেছে ন্যাটো বাহিনী৷ লিবিয়ার সেনাবাহিনী যাতে সাধারণ মানুষের ওপর সমরাস্ত্র প্রয়োগ করতে না পারে তার অঙ্গ হিসেবেই এই বন্দরে হামলা বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে ন্যাটোর তরফে৷ ন্যাটোর সামরিক মুখপাত্র মাইক ব্রাকেন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদরদপ্তরে এ বিষয়ে বিশদ জানিয়ে বলেন, গাদ্দাফির নৌবাহিনী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা মিসরাটা শহরের বন্দর থেকে যাতায়াত করা মানবিক ত্রাণবাহী জাহাজগুলির ওপর ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছিল, যাতে বিদ্রোহীদের সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়৷ সেটা রুখতেই গাদ্দাফির রণতরী ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেয় ন্যাটো৷ গত বৃহস্পতিবারে শুরু হওয়া এই বিমানহামলায় এ পর্যন্ত গাদ্দাফির আটটি রণতরী ধ্বংস করা হয়েছে বলেও তিনি জানান৷ তবে, এই হামলায় জাহাজগুলির কতজন কর্মী হতাহত হয়েছে সে বিষয়ে কোন সঠিক তথ্য দেয় নি ন্যাটো৷

লিবিয়ার অভিযোগ মানবিক সংকটের

লিবিয়ার গাদ্দাফি সরকারের প্রশাসন ন্যাটোর এই বিমানহামলার বিরুদ্ধে নিজেদের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শনিবার বলেছে, বন্দরে হামলা চালিয়ে এতগুলি জাহাজ ধ্বংস করে দেওয়ার পর তাদের পক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিদেশে জাহাজের মাধ্যমে খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানোর কাজে বড় ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়েছে সেদেশের প্রশাসন৷ তাছাড়া বন্দরের অভ্যন্তরীণ কাজ চালাতেও অপারগ হয়ে পড়েছে তারা৷

পেন্টাগন সাহায্য পাঠাচ্ছে লিবিয়ার বিদ্রোহীদের

মার্কিন সামরিক সদরদপ্তর পেন্টাগন সূত্র শনিবার জানিয়েছে, লিবিয়ার বিদ্রোহীদের প্রয়োজনে ২৫ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পাঠাবার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে৷ জানা গেছে, এই অর্থে লিবিয়ায় গাদ্দাফিবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীদের জন্য হালাল মাংস থেকে শুরু করে তাঁবু পর্যন্ত বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র অবিলম্বে জাহাজে করে লিবিয়ায় পাঠানো হবে৷ তবে এই সহায়তার মধ্যে কোনরকমের অস্ত্র থাকছে না বলেও জানিয়েছে ওই সূত্র৷ পরিবর্তে রণাঙ্গনে সরাসরি যে সমস্ত বিদ্রোহী লড়াই করছেন, তাঁদের জীবন রক্ষার্থে বিশেষ ধরণের বুলেট নিরোধক জ্যাকেট পাঠাবে পেন্টাগন৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য