লিবিয়ায় সংকট সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত
১৫ মে ২০১১১১ ইমামের মৃত্যু
এ বিষয়ে সরকার ও ন্যাটোর দুধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে৷ সরকার বলছে ন্যাটোর অভিযানেই তাঁরা মারা গেছেন৷ আর ন্যাটো বলছে তারা একটি সামরিক স্থাপনায় হামলা করেছিল৷ তাতে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না, সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত নয়৷ তবে এধরণের ঘটনার কারণে ন্যাটোর অভিযানের প্রতি সাধারণ মানুষের আগে যে একটা সমর্থন ছিল সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷
বিদ্রোহী নেতার ফ্রান্স সফর
সফরে বিদ্রোহী নেতা জিবরিল দেখা করেছেন প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজির সঙ্গে৷ তবে তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে সেটা জানা যায়নি৷ কারণ কোনো পক্ষ থেকেই কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি৷ তবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্রোহীদের জন্য আরও বেশি করে আন্তর্জাতিক সমর্থন কীভাবে পাওয়া যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে৷ কারণ ফ্রান্স রাশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের সমর্থন আশা করছে৷ উল্লেখ্য এখন পর্যন্ত মাত্র চারটি দেশ লিবিয়ার বিদ্রোহীদের গঠিত ‘ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল'কে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ বিদ্রোহী নেতা জিবরিল মার্কিন স্বীকৃতির জন্য হোয়াইট হাউসে গেলেও সেটা মেলেনি৷ তবে মার্কিন সরকার বলছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে জব্দ করা গাদ্দাফির অর্থের একটা অংশ বিদ্রোহীদের দেয়ার জন্য আইনে পরিবর্তন আনার কাজ করছে৷
লিবিয়া সংক্রান্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত আব্দুল আল-খতিবের আজ লিবিয়া সফরের কথা রয়েছে৷ তিনি লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাগদাদি মাহমুদি'র সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ সে সময় সাধারণ মানুষের উপর হামলা বন্ধ করতে লিবীয় সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানাবেন৷
ন্যাটো অভিযানের বর্তমান অবস্থা
সন্তোষজনক নয় বলা যায়৷ তাই ব্রিটেনের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা অভিযানের আওতা আরও বাড়াতে ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ অভিযানে যদি গাদ্দাফি মারা যান তাহলে সেটা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বেঁধে দেয়া আইনের মধ্যেই থাকবে বলেও মন্তব্য করেছেন জেনারেল ডেভিড রিচার্ডস৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই