1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বয়স শুধুই একটা সংখ্যা!

২৫ আগস্ট ২০১৬

‘মডেলিং' মানেই ব়্যাম্পের চোখ ধাঁধানো আলো, সুঠাম দেহের দীর্ঘাঙ্গী তরুণীদের হেঁটে যাওয়া, হাই-হিলের ঠুক-ঠাক শব্দ, অজস্র ক্যামেরা আর নিত্য-নতুন ডিজাইনার পোশাক৷ কিন্তু কার্মেন ডেল'অরেফিস এ সবকে যেন বুড়ো আঙুল দেখালেন...৷

https://p.dw.com/p/1JpMQ
কার্মেন ডেল'অরেফিস
কার্মেন ডেল'অরেফিসছবি: Getty Images/C.Allegri

কার্মেনের বয়স এখন ৮৫৷ কিন্তু বয়সটা যে নিতান্তই একটা সংখ্যা, সেটাই প্রমাণ করলেন কার্মেন৷ ব়্যাম্পের আলো-আঁধারিতে তাঁর হাঁটাচলা, দুই হাতের মুদ্রা, চাহনি – সবকিছুতেই যেন ‘ম্যাজিক', এক নয়নাভিরাম নস্টালজিয়ার ছোঁয়া৷

হবে না? দীর্ঘ একটা সময়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে যে তাঁর৷ তিনিই যে বিশ্বের প্রবীণতম সুপারমডেল!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পরই মডেলিং জগতে প্রবেশ করেন কার্মেন ডেল'অরেফিস৷ তখন তাঁর কী-ই বা বয়স হবে? এই ১৩ বা ১৪৷ তখন থেকেই শুরু৷ এরপর বহু ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে কার্মেনকে৷ কিন্তু তিনি হাল ছাড়ার পাত্রী ছিলেন না৷ একটা সময় শত কষ্ট, দরিদ্রতার মধ্যেও মডেলিং-ই তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছে, দিয়েছে এগিয়ে যাওয়ার সাহস৷ আর আজ, সেই ফেলে আসা সময়টাই কার্মেনের সবচেয়ে বড় শক্তি৷

‘‘আমি জীবনের এমন একটা সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি, যখন আমার মনে হচ্ছে যে এ সময়টা একান্তই আমার৷ গোটা একটা ইতিহাসের সাক্ষী আমি৷ দীর্ঘ একটা সময়ের অভিজ্ঞতা আছে আমার ঝুলিতে৷ আমি এ সময়টা পার হয়ে এসেছি, সময়টার মালিক আমি নিজে৷ তাই তো নিজেকে, আমার ফেলে আসা সময়টাকে নিজের মতো করে উপস্থাপন করতে পারি আমি৷''

গত ১৫ বছরে জীবনের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়টা পার করেছেন কার্মেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘বুড়ো আমাদের সকলকেই হতে হবে, মরতেও হবে একদিন৷ কিন্তু ঠিক কীভাবে আমরা বুড়ো হবো, কীভাবে জীবনটা কাটাবো – সেটা তো আমাদেরই হাতে৷ তাই আমি জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত কাজ করে যেতে চাই৷''

বলা বাহুল্য, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কার্মেনের এই গল্পে উচ্ছ্বসিত অনেকেই৷ তাই অসংখ্যবার ‘শেয়ার' করা হয়েছে ভিডিওটি৷ আপনিও দেখেছেন তো?

ডিজি/এসবি