মাছ বাঁচাতে মাছ খাওয়া
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪চারা মাছগুলো বড় করতে বিশেষ কিছু লাগে না: পানি, এক কিলোগ্রাম দানাপানি আর চৌবাচ্চায় ১৫০ দিন৷ এগুলো হলো আফ্রিক্যান ক্যাটফিশ বা শিঙি মাছ৷
চৌবাচ্চার পানি সারাক্ষণ ২৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড গরম রাখতে হয় – কেননা মাছটির আদত বাস আফ্রিকায়৷ পানি গরম রাখার জন্য গ্যাস আসে ভেড়ির নিজস্ব বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট থেকে, কাজেই কোনো বাড়তি খরচ পড়ে না৷ চাষি এবং ভেড়ি-মালিক ব্যারন্ড পমারেনে বললেন:
‘‘আমরা সব কিছু ধরে রাখি এবং সব কিছু আবার পুরোপুরি ব্যবহার করা হয়৷ ভেড়ির পানি ধরে রেখে তা চাষের জমিতে দেওয়া হয়৷ সেটা রিসাইক্লিং-এর কাজ করে৷ সেই জমিতে ভুট্টার চাষ করা হয়৷ সেই ভুট্টার গাছপাতা আবার যায় বায়োগ্যাস প্ল্যান্টে, যেখানে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, যে বিদ্যুৎ দিয়ে মাছের চৌবাচ্চা গরম রাখা হয়৷''
শুধু এই ‘ফিশ ফার্ম' বা মাছের ভেড়ির জন্যেই এই বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে৷ সরকারি ভরতুকির ফলে এই বিনিয়োগ লাভজনক হয়েছে৷ মাছ নিয়ে ব্যবসাটা জার্মান চাষিদের পক্ষে নতুন; সরকারি জ্বালানি নীতিতে পরিবর্তনের ফলে এই নতুন ব্যবসা সম্ভব হয়েছে: ইতিমধ্যেই ৬০টি এ ধরনের খামার আছে; আগামী পাঁচ বছরে তা নাকি বেড়ে দাঁড়াবে ছ'শোয়৷
‘ফিশগুট নর্ড' খামারের মার্কেটিং ম্যানেজার স্টেফান শোয়াববাউয়ার ইউরোপ জুড়ে অ্যাকোয়া কালচার, মানে জলজাত খাদ্য উৎপাদনের প্রবণতার কথা বলেন: ‘‘আপাতত এটা একটা অর্থকরী ব্যবসা, কেননা মাছের চাহিদা বেড়েই চলেছে – এবং সেই সঙ্গে যারা এ ধরনের নতুন ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করতে চান, তাদের সংখ্যা৷ সে হিসেবে মডেলটা খুবই ভালো এবং বাড়ানোও যেতে পারে, যদি মানুষজন মাছটা পছন্দ করে৷''
সেটাই হলো আসল সমস্যা: মাত্র কয়েক বছর হলো রেস্তোরাঁর কুক ইয়ুর্গেন নয়মান আফ্রিকার শিঙি মাছ রাঁধছেন, কিন্তু খদ্দেররা শেষমেষ সেই মাছ খেতে শুরু করেন, যখন নয়মান তাঁদের বোঝান যে, এই বিজাতীয় মাছটি খাওয়া হলো সামুদ্রিক মাছগুলিকে বাঁচানোর একটা পন্থা৷