মিয়ানমারে সেনাদের বিরুদ্ধে নতুন বাহিনী গড়ার চেষ্টা
৭ মে ২০২১‘সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ঠেকাতে' এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানায় তারা৷ অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ করা সাধারণ নাগরিক ও বিভিন্ন এথনিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে এই বাহিনী গঠন করতে চায় ঐকমত্যের সরকার৷
সাবেক সাংসদ, রাজনীতিবিদ, গণতন্ত্রপন্থি গোষ্ঠী ও এথনিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গতমাসে ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট' বা এনইউজি নামের ঐ সরকার গঠন করা হয়৷ এখন তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করছে৷
বুধবার ডিফেন্স ফোর্স গঠনের ঘোষণা দেয়ার পর বৃহস্পতিবার অনেক তরুণ সামাজিক মাধ্যমে এই বাহিনীতে যোগ দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷
ব্রাসেলসভিত্তিক থিংক ট্যাংক ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিসি গ্রুপের' হিসেবে ২০টির কিছু বেশি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমারের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে৷ আরও বেশি স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে গ্রুপগুলো সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়৷ এসব গ্রুপের মধ্যে কয়েকটি ইতিমধ্যে অভ্যুত্থানের সমালোচনা করেছে৷ বিক্ষোভ দমনের নামে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতনেরও সমালোচনা করেছে তারা৷ এই গ্রুপগুলোর সঙ্গে মিলে কাজ করতে আলোচনা শুরু করেছে ঐকমত্যের সরকার৷
মিয়ানমারের মনিটরিং সংস্থা ‘অ্যাসিস্টেন্স এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স' বা এএপিপি জানিয়েছে, দেশটিতে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৬৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ প্রায় তিন হাজার সাতশ জনকে আটক করা হয়েছে৷ এর মধ্যে অনেক সাংবাদিকও আছেন৷ বিভিন্ন গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স৷
সামরিক জান্তা সরকার অবশ্য মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম বলে দাবি করেছে৷ এছাড়া এসব মৃত্যুর জন্য ‘দাঙ্গাবাজদের' দায়ী করছে তারা৷
এদিকে, দেশের বাইরে সম্প্রচার বন্ধ করতে গত মঙ্গলবার স্যাটেলাইট টেলিভিশন রিসিভারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সামরিক সরকার৷ গত কয়েকমাস ধরে দেশটির ইন্টারনেট পরিষেবায়ও নিয়মিত বাধা দেয়া হচ্ছে৷
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ ২০০'র বেশি সংগঠন সম্প্রতি মিয়ানমারের উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)