সোয়াইন ফ্লু আতংকে বিপাকে শূকরের মাংস বিক্রেতারা
৪ মে ২০০৯ভিয়েতনামের কৃষকরা এখন শূকর বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছে৷ দেশটির মাংস বিক্রেতারা দাম কমিয়েও শূকরের মাংস বিক্রি করতে পারছে না৷ কারণ একটাই - সোয়াইন ফ্লু আতংক! ভিয়েতনামের কৃষি এবং গ্রামীণ উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী হুয়াং কিম গিও জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ শূকরের মাংস কিনতে চাচ্ছে না৷ ফলে শূকরের দাম এখন পড়তির দিকে৷
গিও জানান, সাধারণ মানুষ মনে করছে, শূকরের মাংস খেলে সোয়াইন ফ্লু হতে পারে৷
অবশ্য ভিয়েতনামের একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, সাধারণ বাজারে শূকরের মাংসের চাহিদা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমে গেলেও সুপারমার্কেটগুলোতে চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ৷ কারণ অনেকে মনে করছে, সুপারমার্কেট থেকে মাংস কিনলে তা নিরাপদ৷
অবশ্য ভিয়েতনাম সরকার শূকর ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে বিভিন্ন ধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ বিশেষত, স্থানীয় সংবামাধ্যমে নিয়মিতভাবে প্রচার করা হচ্ছে যে, শূকরের মাংসের সঙ্গে সোয়াইন ফ্লু-র সরাসরি কোন সম্পর্কই নেই৷
এদিকে, সোয়াইন ফ্লু আতংকে মিশরের সমস্ত শূকর হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার৷ সরকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ৬ মাসে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার শূকর হত্যা করা হবে৷ এজন্য প্রতিদিন ৩০০০ শূকর হত্যা করা যায়- এমন মেশিনও আমদানি করছে মিশর৷ অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সোয়াইন ফ্লু থেকে বাঁচতে শূকর নিধনের কোন প্রয়োজনই নেই৷ কারণ শূকরের শরীর থেকে সোয়াইন ফ্লু মানুষের শরীরে গেছে এমন কোন তথ্য প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি৷
মুসলিম-প্রধান মিশরে সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান বংশোদ্ভুতরাই মূলত শূকরের মাংসের ক্রেতা৷ তাই মিশরের মাংস ব্যবসায়ী এবং খ্রিষ্টানরা শূকর নিধনের প্রবল প্রতিবাদ করলেও তা তেমন একটা আমলে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ৷
প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০টি দেশে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯৮ জন৷ এই রোগে মৃতের সংখ্যা ২৬ জন৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক