চলে গেলেন হুমায়ূন আহমেদ
২০ জুলাই ২০১২ক্যান্সার নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১ টা ২০ মিনিটে নিউ ইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় এই লেখক৷ তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর৷
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া গভীর শোক প্রকাশ করেছেন৷ গাজীপুরে নিজের গড়া নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূনকে দাফন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁর ছোট ভাই আহসান হাবিব৷
বৃহদান্ত্রে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ৷
১৯৪৮ সালে নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ৷ এরপর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই লেখালেখি শুরু করে সাহিত্য সমালোচকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন তিনি৷ ‘নন্দিত নরকে' হুমায়ূনের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস৷ এরপর শঙ্খনীল কারাগার, রজনী, এপিটাফ, পাখি আমার একলা পাখি, ফেরা, নিষাদ, দারুচিনি দ্বীপ, নির্বাসন, অমানুষ, রূপালী দ্বীপ, শুভ্র, দূরে কোথাও, মন্দ্রসপ্তক, বাদশাহ নামদার, সাজঘর, বাসর, নৃপতির মতো পাঠক হৃদয় জয় করা উপন্যাস আসে তাঁর লেখনীতে৷
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে হুমায়ূন লিখেছেন জোৎস্না ও জননীর গল্প, ১৯৭১, সূর্যের দিনের মতো উপন্যাস৷ অনন্ত নক্ষত্র বীথি, ইরিনার মতো কয়েকটি কল্পবিজ্ঞান কাহিনীও লিখেছেন তিনি৷
জনপ্রিয় এই লেখকের মৃত্যুর খবরে বাংলাদেশের সাহিত্যিক, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মীদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া৷ তাঁরা বলছেন, এই কথাশিল্পীর মৃত্যু তাঁদের জীবদ্দশায় দেখা সবচেয়ে শোকের, সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাগুলোর একটি৷
হুমায়ূনকে শরৎচন্দ্র উত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ‘বড় লেখক' হিসেবে অভিহিত করেছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু৷ বাংলাদেশে ডিডাব্লিউ'র কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘অনেক বড় মাপের লেখক অনেক সময় জনপ্রিয়তা পাননা৷ কিন্তু হুমায়ূন ভাইয়ের উপন্যাস যেমন জনপ্রিয়, তেমনি গভীর জীবনবোধে আচ্ছন্ন৷ মানুষের চরিত্রকে এত ভালোভাবে বুঝতে তাঁর মতো আর কাউকে দেখিনি৷''
জেডএইচ / ডিজি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)